বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
মে ১৩, ২০২১
০৯:১১ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ১৩, ২০২১
০৯:১২ অপরাহ্ন
রাত ফুরালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এক মাস সিয়াম সাধনার পর সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জায়নামাজ নিয়ে ঈদগাহ ময়দানে ছুটে যাবেন- এটাই চিরাচরিত দৃশ্য।
কিন্তু প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে এবারও সে দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিয়ানীবাজারের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহগুলো। শুধু এবারই নয়, টানা তিন ঈদে ধর্মীয় উৎসব আর আমেজ থেকে বঞ্চিত স্থানীয় ঈদগাহগুলো। থাকছে না সেই চিরচেনা কোলাহল আর শত-শত মুসল্লির মুখরতা।
বিয়ানীবাজার উপজেলায় বড় ঈদের জামাত হয় হজরত গোলাবশাহ (র) শাহী ঈদগাহ-ইমামবাড়ি, হজরত সৈয়দ শাহ (র) ঈদগাহ ময়দান, হজরত হায়দর শাহ (র) ঈদগাহ ও সুপাতলার ওসমানী স্টেডিয়াম, আকাখাজার শাহী ঈদগাহসহ আরও ১০-১২টি ঈদগাহে।
এছাড়াও উপজেলার আরও অন্তত: ৪০টি ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্টিত হয়। পবিত্র ঈদের নামাজ আদায়ের লক্ষে ৪-৫দিন পূর্ব থেকে ঈদগাহগুলো ধোয়ামোছার কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এবার সেগুলো নীরব-নিস্তব্দ।
কিন্তু গত ঈদুল ফিতরে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় বিয়ানীবাজারসহ দেশের সব ঈদগাহে ঈদের জামাত না পড়তে নির্দেশনা জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশনা মেনে গত রোজার ঈদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি বিয়ানীবাজারের বেশীরভাগ ঈদগাহে। হয়নি ঈদুল আজহায়ও, এবং হচ্ছে না এবারের ঈদেও।
এবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত না হওয়ার বিষয়ে বিয়ানীবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছায়ফুল ইসলাম ঝুনু বলেন, করোনার কারণে পৌর এলাকার ঈদগাহসহ কোনো ঈদগাহেই ঈদের জামাআত অনুষ্ঠিত হবে না। শুধু বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে। প্রয়োজনে একাধিক জামাআত অনুষ্ঠিত হবে। জামাআতের সময় মসজিদ কমিটি নির্ধারণ করে দেবেন।
গত বছর ছাড়া অন্যান্য বছরে উপজেলার ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করতে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হতো। বেশকিছু দিন আগে থেকেই শ্রমিকরা কাজ শুরু করে। মাঠের ঘাস কাটা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ সহ বৃষ্টির আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাঠে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
ঈদের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠ পরিদর্শন করে শৃংখলার বিষয়ে খবর নেন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি গতবারের মতো এবারও থামিয়ে দিয়েছে সবকিছু, প্রস্তুত করা হচ্ছে না বিয়ানীবাজারের ঈদগাহগুলো।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আশিক নূর বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ঘণ জমায়ত নিষিদ্ধ। তাই এবার মুসল্লিরা নিজ নিজ এলাকার জামে মসজিদের ঈদের নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে।
আরসি-১০