সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ২৯, ২০২১
০৭:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২৯, ২০২১
০৭:০৭ অপরাহ্ন
করোনা প্রতিরোধে টিকা আনার পর এবার এই রোগের চিকিৎসায় দুটি ‘অ্যান্টিভাইরাল’ ওষুধ নিয়ে কাজ করছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার। এর মধ্যে একটি মুখে গ্রহণের ওষুধ। অন্যটি ইনজেকশনের মাধ্যম গ্রহণের ওষুধ। করোনার চিকিৎসায় মুখে গ্রহণের ওষুধটি আগামী বছর নাগাদ আসতে পারে।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য গত বছরের ডিসেম্বরে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার অনুমোদন দেয়। পরে অন্যান্য দেশও জরুরি ব্যবহারের জন্য এই টিকার অনুমোদন দেয়। ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
এখন ফাইজার করোনার চিকিৎসায় ‘অ্যান্টিভাইরাল’ ওষুধ নিয়ে কাজ করছে। এ সম্পর্কে ফাইজারের সিইও আলবার্ট বোরলা বলেন, ‘আমরা আসলে দুটি ওষুধ (অ্যান্টিভাইরাল) নিয়ে কাজ করছি। একটি ইনজেশনের মাধ্যমে দেওয়ার ওষুধ। অন্যটি মুখে গ্রহণের ওষুধ।’
দুটি অ্যান্টিভাইরালের মধ্যে মুখে খাওয়ার ওষুধটির প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আলবার্ট বোরলা। কারণ হিসেবে তিনি আরো বলেন, মুখে খাওয়ার ওষুধের একাধিক সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে একটি সুবিধা হলো এই ওষুধ গ্রহণের জন্য রোগীকে হাসপাতালে যেতে হবে না। ঘরে বসেই ওষুধটি নেওয়া যাবে।
আলবার্ট বোরলা বলেন, সব কিছু ঠিকঠাকভাবে এগোলে তাঁরা এখন যে গতিতে কাজ করছেন, সেই একই গতিতে তাঁরা ওষুধটি তৈরির প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করবেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি তাঁদের মতো গতিশীলভাবে কাজ করে তাহলে তাঁর আশা, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ওষুধটি তৈরি হয়ে যাবে।
আরসি-০৫