সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ২৮, ২০২১
০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০২১
০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
বিশ্বব্যাপী ১৩ কোটি ৬০ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী কভিডে আক্রান্ত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছেন। এদের অন্তত ৭ হাজার ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ৫ লাখ ৭০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন অন্তত আড়াই হাজার। ইউরোপের দেশগুলোতে মোট কভিড আক্রান্তদের মধ্যে ২৫ শতাংশই স্বাস্থ্যকর্মী। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
‘অনুমান, প্রস্তুতি এবং সংকটে সাড়া: পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় বিনিয়োগ’ শিরোনামে এই প্রতিবেদন জেনেভায় আইএলওর সদর দপ্তর থেকে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশ করা হয়। পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো।
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিডকালে অপ্রত্যাশিত চাকরিচ্যুতি এবং লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অচল হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে আত্মহত্যার উদাহরণ তৈরি হয়েছে। আগের প্রকাশিত গবেষণা থেকে এই তথ্য উদ্ধৃত করা হয়। এর বাইরে বাংলাদেশ সম্পর্কে আলাদা করে আর কিছু বলা হয়নি প্রতিবেদনে। তবে আগামীতে জরুরি দুর্যোগে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় এখনই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাংলাদেশসহ সংস্থার অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবেদনে আইএলর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, কোভিড থেকে পুনরুদ্ধার, প্রতিরোধে সব দেশে এ সংক্রান্ত একটি জাতীয় অর্থবহ নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। যাতে প্রাতিষ্ঠানিক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামোর মাধ্যমে সমন্বিতভাবে আগামীতে কভিডের মতো যেকোনো দুযোর্গ সফলভাবে মোকাবেলা করা যায়।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন বলেন, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ কভিড সে বিষয়ে খুব পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে। সব শিল্প কারখানায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা অবশ্যই জাতীয় অগ্রাধিকারে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় আন্তর্জাতিকবাবে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস যখন পালন করা হচ্ছে তখন গোটা বাংলাদেশে কভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রামণ বাড়ছে। সমাজকে আর্থিকভাবে কার্যকর রাখতে লাখো শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কভিডের মধ্যেও কাজ করছেন।
আরসি-০২
সূত্র: কালের কণ্ঠ