সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ২১, ২০২১
০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২১, ২০২১
০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
প্রথম কেরানাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার। গত বছরের এপ্রিল মাসে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১০৯ জন সাংসদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই এক বছরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন সাংসদ।
সংসদ সচিবালয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত অন্তত ১০৯ জন সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রিসভার ১৫ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজন সংসদ সদস্য এবং একজন মন্ত্রিসভার সদস্য মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ রয়েছেন ১২ জন। প্রসঙ্গত, সংরক্ষিত ৫০ জনসহ সংসদের সদস্য মোট ৩৫০ জন।
জাতীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে সর্বশেষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রাজশাহী-২ আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। ১৪ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষার ফলাফলরে প্রতিবেদন থেকে জানতে পারেন তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। পরে দ্রুত রাজশাহী থেকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাঁকে ঢাকায় আনা হয়। এখন হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ করোনার টিকা নিয়েছিলেন তিনি।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকায় করোনা কুপোকাত করতে পারেনি। তেমন কোনো জটিলতা দেখা দেয়নি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ১৩ জুন মারা যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ নাসিম। একই দিনে মারা যান টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ। আর জুলাইয়ে মারা যান নওগাঁ-৬ আসনের সাংসদ ইসরাফিল আলম। সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল মারা গেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কুমিল্লা-৫ আসনের সাংসদ আবদুল মতিন খসরু। এর আগে গত মাসে মারা যান সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। আর সাংসদদের মধ্যে প্রথম করোনায় সংক্রমিত হন নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ ও সংসদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার। গত বছরের ৩০ এপ্রিল তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। এরপর গত নভেম্বরে তিনি দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হন। তাঁর মতো আরও দুজন সাংসদ দুবার করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা হলেন টাঙ্গাইল-২ আসনের ছোট মনির ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ তানভীর শাকিল জয়।
সূত্র বলছে, গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে একজন করে সাংসদের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর জুনে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ জনে। জুলাইয়ে ৬ ও আগস্টে ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ৫ জন করে শনাক্ত হলেও নভেম্বরে সর্বোচ্চ ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয় ।এরপর টানা তিন মাস এটি কমতে থাকে। ডিসেম্বরে ৮ জন, জানুয়ারিতে ৩ ও ফেব্রুয়ারিতে ৬ জন সাংসদের করোনা শনাক্ত হয়। এ বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে ১৪ জন সাংসদ আক্রান্ত হন এতে। আর চলতি মাসে ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র বলছে, প্রতিটি সংসদ অধিবেশনের আগে সবার করোনা পরীক্ষা করাটা বাধ্যতামূলক। এতে দেখা গেছে, উপসর্গ ছাড়াও অনেকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ সংসদ অধিবেশন বসে ১ এপ্রিল। এর আগে করোনা নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন শনাক্ত হন। এ ছাড়া ১৭ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে বাধ্যতামূলক নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে কারও কারও করোনা শনাক্ত হয়।
বিএ-০২