সিরামের টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা, বিকল্প উৎসের খুঁজে বাংলাদেশ

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ১৭, ২০২১
০৮:০১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৭, ২০২১
০৮:১১ পূর্বাহ্ন



সিরামের টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা, বিকল্প উৎসের খুঁজে বাংলাদেশ

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিমাসে ৫০লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা থাকলেও গত দুই মাসে কোনো চালান আসেনি। কবে নাগাদ টিকার চালান আসতে পারে, তা কেউ বলতে পারছে না। এই অবস্থায় দেশে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম ঝুঁকিতে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও চীন থেকে করোনার টিকা আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে এক বৃটিশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, এখন রাশিয়া এবং চীনসহ বিকল্প সব জায়গা থেকে টিকা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

চুক্তির পর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে দু’টি চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসাবে দিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের হাতে এসেছিল এক কোটি দুই লাখ ডোজ।

সরকারি হিসাবে প্রথম ডোজের টিকা যে সংখ্যক মানুষ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন প্রায় দশ লাখ ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সিরাম ইনস্টিটিউট আবার কবে টিকা সরবারহ করবে, তার কোনো নিশ্চয়তা বাংলাদেশ পাচ্ছে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম বলেছেন, এখন সিরামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে রাশিয়া এবং চীন থেকে টিকা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, টিকার ঘাটতি থাকছেই। হিসাবেও তাই বলে। আমরা বার বার বলছি, তাগাদা দিয়েছি। এর মধ্যে আমরা আমাদের অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয় দুই দুই বার সিরামকে চিঠিও দিয়েছি। তারাও প্রত্যেকবার বলছে যে এটা অসুবিধ হবে না। আমরা যদি এখান থেকে না পাই তাহলে আমাদের অন্যত্র খুঁজতে হবে এবং আমরা তা শুরু করে দিয়েছে। আমরা রাশিয়া এবং চীনের সাথে যোগাযোগ করেছি।

রাশিয়া এবং চীন থেকে টিকা পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম বলেন, এটা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তবে রাশিয়া এবং চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে যে তারা দিতে চায়। ইতিমধ্যে আমাদের দুই তিনটা বৈঠকও হয়েছে। তবে মুশকিল হচ্ছে, কেউ না করছে না। টিকা দেবে না, একথা কেউ বলছে না। কিন্তু কবে পাওয়া যাবে, সেই নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজার এবং মডার্নার টিকা আনার ব্যাপারেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তারা এমুহূর্তে তাদের দেশের বাইরে টিকা সরবরাহ করছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম ধাপে বাংলাদেশকে যে এক কোটি ডোজ টিকা দিতে চেয়েছিল, তাও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ভারতের সিরামের কাছ থেকে টিকা নিয়ে বাংলাদেশকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সিরাম এ মুহূর্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও টিকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।

আরসি-০৩