ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস পালিত

মাধবপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ০৫, ২০২১
১২:৪৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৫, ২০২১
১২:৪৪ পূর্বাহ্ন



ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস পালিত

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার (৪ এপ্রিল) সকালে মহামারী করোনার কারণে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাসন্তানদের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহিউদ্দিন আহম্মেদ, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লোকমান হোসেন, মাধবপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মনোয়ারা বেগম, নাছির উদ্দিন খান, দেওয়ান আব্দুল আওয়াল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের  ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল যুদ্ধের কলাকৌশল ঠিক করার জন্য। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহণ করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সমগ্র বাংলাদেশকে ৪টি সেক্টরে ভাগ করে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার পূর্বাঞ্চল নিয়ে গঠিত অঞ্চলের দায়িত্ব মেজর জিয়াউর রহমানকে, বৃহত্তর কুমিল্লা, ঢাকা ও নোয়াখালী জেলার পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে গঠিত অঞ্চলের দায়িত্ব মেজর খালেদ মোশাররফকে, বৃহত্তর সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলার পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব মেজর সফিউল্লাকে এবং বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশোর ও ফরিদপুর অঞ্চলের দায়িত্ব মেজর আবু ওসমান চৌধুরীকে দেওয়া হয়। কর্নেল ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে কাজের সুবিধার্থে তা বৃদ্ধি করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। ওই বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি আতাউল গনি ওসমানী নিজের পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি করে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

 

এসএম/আরআর-০৫