নবীগঞ্জ পৌর মেয়র করোনা আক্রান্ত, বিড়ম্বনায় নাগরিক

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি


আগস্ট ১১, ২০২০
০৬:৩১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১১, ২০২০
০৭:০৬ পূর্বাহ্ন



নবীগঞ্জ পৌর মেয়র করোনা আক্রান্ত, বিড়ম্বনায় নাগরিক

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ছাবির আহমেদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ৩ জন প্যানেল মেয়র  থাকা সত্বেও কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে নিজেই ভোগান্তিতে ফেলেছেন পৌরসভার নাগরিকদের। এতে পৌরবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

গত ৪ আগষ্ট পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী নমূনা প্রদান করেন। পজিটিভ রিপোর্ট আসে গত ৫ আগষ্ট। এর আগে প্রায় ১০ দিন যাবৎ তিনি বাড়িতে জ্বর নিয়ে হোম কোয়ারাইন্টানে থেকেও পৌরসভার দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে গেছেন। নাগরিকদের জরুরী নাগরিক সনদ, জন্ম মৃত্যু সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। ৩/৪ দিন পর হলেও নাগরিকগণ তাদের জরুরী নাগরিক সনদ, জন্ম, মৃত্যু সনদ নিয়েছেন। কিন্তু মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার দু’দিন পর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের মাউন্ট এডোরা হসপিটালে ভর্তি হলে বিড়াম্বনার শিকার হন পৌরবাসী।অনেকেই তাদের জরুরী ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় সনদ, জন্ম, মৃত্যু সনদপত্র নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। অফিস থেকে তাদেরকে বলা হচ্ছে মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী অসুস্থ, না আসলে হবে না। ফলে ভুক্তভোগী নাগরিক সমাজ চরম হতাশায় পড়েছেন। তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী করে বলেন, পরিষদে ৩ জন প্যানেল মেয়র থাকার পরও তাদের জরুরী সনদপত্র বা ট্রেড লাইসেন্স নিতে বিড়ম্বনা কেন। তাহলে প্যানেল নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা কি ছিল? 

একজন সিনিয়র সাংবাদিক তার জরুরী জন্ম সনদ আনতে গিয়ে ব্যর্থ হন। এ সময় প্যানেল মেয়র-১ এটিএম সালামকে স্বাক্ষর দিতে বললে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে তিনি হতাশ হয়ে ফিরে আসেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি জরুরী কাজে ট্রেড লাইসেন্স আনতে গিয়েও ব্যর্থ হন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র-১ এটিএম সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়র সাহেব অসুস্থ। এদিকটি বিবেচনা করা উচিৎ। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দায়িত্ব না পেয়ে কোন কাগজে স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং অসুস্থ মেয়র এর জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন। 

সূত্র জানায়, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি হোম আইসোলেশনে কমপক্ষে ২১ দিন থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী হলে ওই সময় সাধারন ছুটিতে থাকবেন দাপ্তরিক কোন কাজে অংশ নিতে পারবেন না। জনপ্রতিনিধির বেলায় এমনটা আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি অফিসের কাজ বাড়িতে বসে করার কারণে অফিসের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী বিব্রত হলেও চাকুরী হারানোর ভয়ে তারা কিছু বলতে পারছেন না।

বিএ-০২