ঈদ জামাতে করোনা মুক্তির প্রার্থনা

নিজস্ব প্রতিবেদক


আগস্ট ০১, ২০২০
০৫:০৫ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০১, ২০২০
০৫:০৫ অপরাহ্ন



ঈদ জামাতে করোনা মুক্তির প্রার্থনা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে হজরত শাহজালাল (রহ.) এর দরাগাহ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। ছবি: এইচ এম শহীদুল ইসলাম

মহামারির মধ্যে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে তাই বিধিনিষেধ মেনে সিলেট নগরের মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন মুসল্লিরা। 

হজরত শাহজালাল (রহ.) এর দরগাহ মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। কল্যাণ কামনা করা হয় দেশ ও জাতির। 

প্রতি বছর শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত বিধিনিষেধের কারণে সেখানে জামাত আয়োজন করা হয়নি। গত ঈদুল ফিতরেও জামাত হয়নি শাহী ঈদগায়। ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায়ও ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ কোলাকুলি ও করমর্দন করতে দেখা যায়নি মুসল্লিদের। কারণ কোলাকুলিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। 

সিলেট নগরের সিটি পয়েন্ট সংলগ্ন কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ঈদুল আজহার তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম, সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় ও সাড়ে ৯টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদে। সিলেট ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সকাল ৭ টায়, ৮টায়, ৯টায় এবং ১০টায় এই মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

হজরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার মসজিদ ও বন্দর বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে একমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। গাজী বুরহান উদ্দিন জামে মসজিদে একমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। কাজিরবাজার মাদ্রাসা মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। 

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়িতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করে ওজু শেষে মুখে মাস্ক পরে মসজিদে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজেদের সঙ্গে আনা জায়নামাজে নামাজ পড়েন তারা। কাতারেও মানা হয় সামাজিক দূরত্ব। এবার সিলেটের ৩৫২টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব। ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা পশু কোরবানি দিয়েছেন। 

প্রতি বছর ঈদুল আজহা আসে ত্যাগের আহ্বান নিয়ে, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব বাংলাদেশে পরিচিত কোরবানির ঈদ নামে। এবার ঈদ এসেছে এমন সময়ে যখন সারা বিশ্বের মানুষ করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিপর্যস্ত। পাশাপাশি সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে বন্যা। এই দুঃসময়ে ঈদুল আজহা যেন সব আঁধার সরিয়ে মানুষের মধ্যে অনাবিল আনন্দ নিয়ে আসে সেই প্রত্যাশা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

এনপি-০৩