ফেঞ্চুগঞ্জে ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

শহিদ আহমদ চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ


জুলাই ২৭, ২০২০
০২:৪১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৭, ২০২০
০২:৪১ পূর্বাহ্ন



ফেঞ্চুগঞ্জে ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

আর কয়েকদিন পরেই মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। কিন্তু সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় এখনও জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট। চলমান করোনার প্রাদুর্ভাবে এবার উপজেলার একমাত্র পশুর হাটটি ক্রেতাশূন্য। হাটে গরুর দামও কম। এতে বিক্রেতারা আছেন দুশ্চিন্তায়।

উপজেলার একমাত্র পশুর হাট ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার। গতবছর এই হাটে অনেক দেশি ও ভারতীয় গরু থাকলেও এ বছর শুধু দেখা যাচ্ছে দেশি গরু। তবে গরুর সংখ্যা তুলনামুলকভাবে কম। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা ক্রেতার অভাবে গরু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। হাটে বিক্রেতা থাকলেও নেই ক্রেতা।

প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু আসে এ হাটে। এখানে আগত দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ক্রেতারা গরু কিনে থাকেন। সপ্তাহে দুইদিন শনিবার ও মঙ্গলবার গরু বেচাকেনা হয় এখানে।

কিন্তু এ বছর করোনার কারণে গরু কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্রেতারা। ক্রেতার অভাবে গরু বিক্রি করতে না পেরে হতাশার কথা জানান বিক্রেতা আনু মিয়াসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী। ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারছেন না তারা। আগামীতে হয়তো এ পেশা বাদ দিতে হবে- এমনটাই জানান তারা।

বাজারের ইজারাদারদের পক্ষ থেকে মুহিবুর রহমান বলেন, 'বাজারটি একবছরের জন্য সরকারিভাবে ইজারা নিয়েছি। করোনার কারণে সরকারের নির্দেশনায় আমরা তিন মাসের বেশি সময় এই পশুর হাটটি বন্ধ রেখেছিলাম। হাট বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ঈদেও গরু বিক্রি না হওয়ায় লোকসানে জর্জরিত হতে হচ্ছে। সরকারের কাছে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা।'

এদিকে করোনাকালে ক্রেতা-বিক্রেতা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সেজন্য বাজারে নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে। পশুর হাটটি সার্বক্ষণিক প্রশাসনের তদারকিতে আছে।

বাজারের ইজরাদার কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, ঈদের আগে সামনের দিনগুলোতে বাজার ভালো বেচাকেনা হবে। একসময় মহামারি করোনা দূর হয়ে জনমনে স্বস্তি আসবে, মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়াবে- এমন প্রত্যাশা জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

 

এসএ/আরআর-০৮