বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
জুন ১২, ২০২০
০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ১২, ২০২০
০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
সিলেটের বালাগঞ্জে আরও ৩ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন অফিস সহকারী ও একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। এছাড়া বালাগঞ্জ সরকারি কলেজের কম্পিউটার অপারেটরের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ (করোনার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) শুক্লম্বর নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্ত কম্পিউটার অপারেটরের বাড়ি ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামে হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বাড়ির ঠিকানায় বালাগঞ্জ ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রাম উল্লেখ রয়েছে।
জানা যায়, কম্পিউটার অপারেটর করোনা উপসর্গ সন্দেহে গত ৩ জুন বালাগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিজের নমুনা দেন। সংগৃহিত নমুনা ঢাকার ল্যাবে প্রেরণ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে পাঠানো রিপোর্টে জানা যায় তার করোনা পজিটিভ।
এদিকে নমুনা প্রদানের ৯ দিন পর রিপোর্ট আসার বিষয়ে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক সচেতন ও শিক্ষিতজনরা বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে না জেনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সাংবাদিকদের বিব্রত করার চেষ্টা করছেন।
কম্পিউটার অপারেটর বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা প্রদান করেছেন, বালাগঞ্জে তার স্থায়ী ঠিকানাও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এরপরও বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা আক্রান্তের তালিকায় যৌথভাবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি তার করোনা পজিটিভ আসার বিষয়ে ওসমানীনগর স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। একজন মানুষের নাম দুই উপজেলার তালিকায় কিভাবে আসে- এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে বালাগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ ফরিদী বলেন, আমার কলেজের কম্পিউটার অপারেটরের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তবে নমুনা প্রদানের ৯ দিন পর রিপোর্ট আসায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কম সময়ে রিপোর্ট প্রদানে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ জুন বালাগঞ্জে একজন সরকারি কর্মকর্তা ও ৮ জুন একজন নারীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এসএ/আরআর-০৮