সিলেটে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ০৭, ২০২০
০৫:৩২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০৭, ২০২০
০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন



সিলেটে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সংকট

সিলেট বিভাগে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেটে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সংকট দেখা দিয়েছে। গত এপ্রিল থেকেই সিলেটে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছে নগরের চৌহাট্টাস্থ শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল। তবে বর্তমানে সক্ষমতা থেকে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে এ হাসপাতাল। এখানে করোনা আক্রান্তরা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও ভেন্টিলেটর সুবিধা পাচ্ছেন। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া সম্প্রতি নর্থ-ইস্ট মেডিকেলেও আইসিইউ সুবিধাসহ করোনা চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ অত্যাবশ্যকীয়। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা বলছে, করোনা আক্রান্তের মোট রোগীর ৮০ থেকে ৮২ শতাংশ সাধারণ চিকিৎসাতেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাকি ১৮ থেকে ২০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা নিতে হয় হাসপাতালে। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ রোগীর জন্য প্রয়োজন হতে পারে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস সুবিধা বা ভেন্টিলেটর। আর জটিল ৫ শতাংশের জন্য লাগতে পারে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেট বিভাগে আজ শনিবার (৬ জুন) সকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৬০ জন। মারা গেছেন ৩১ জন। বর্তমানে সিলেট বিভাগে ১ হাজার ২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতাল ও নিজ নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেই হিসেবে সিলেটে এখনই প্রয়োজন প্রায় ১৫০টি ভেন্টিলেটর ও ৫১টি আইসিইউ। সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এ চাহিদা আরও বাড়তে পারে। যদিও বর্তমানে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্তদের জন্য মাত্র ৩৬টি আইসিইউ বেড ও ১৬ টি ভেন্টিলেটর রয়েছে।

শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র সিলেট মিররকে জানান, হাসপাতালে ১০৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিসৎসা দেওয়া সম্ভব। বর্তমানে ১৮টি আইসিইউ বেড ও ১৬টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। 

নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম সিলেট মিররকে বলেন, ‘হাসপাতালে ২০০ বেডের করোনা ইউনিট চালু করেছি আমরা। এখানে ২০ বেডের আইসিইউ সুবিধাও রয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান সিলেট মিররকে বলেন, ‘সিলেট বিভাগের মধ্যে শুধু শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল ও নর্থ ইস্ট মেডিকেলে করোনা আক্রান্তরা আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সুবিধা পাচ্ছেন। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। আমরা ৫০ শয্যার বেশি সকল বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা শুরুর নির্দেশনা দিয়েছি। তারা করোনা চিকিৎসা শুরু করলে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সংকট কমবে।’

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান সিলেটে আইসিইউ বেড বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে বলে সিলেট মিররকে জানিয়েছেন।

এনসি/এনপি-১৭