আরও ১০ হাজার টন চাল ও সোয়া ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২৯, ২০২০
০৮:৫৮ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২৯, ২০২০
০৮:৫৮ অপরাহ্ন



আরও ১০ হাজার টন চাল ও সোয়া ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য আরও ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ও ৯ হাজার ৭৫০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

টাকার মধ্যে ৪ কোটি ৭০ লাখ ত্রাণ হিসেবে বিতরণ ও এক কোটি ৬০ লাখ শিশু খাদ্য কিনতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এই বরাদ্দ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১১০ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা (শিশু খাদ্য কেনাসহ) ও এক লাখ ৯১ হাজার ৮১৭ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসকরা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়র নির্দেশিকা অনুসরণ করে এ বরাদ্দ বিতরণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন বলে বরাদ্দের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করেন বিধায় জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দের ক্ষেত্রে পৌর এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে শাকসবজি, আম ও লিচু কিনে বিতরণ করা যেতে পারে। প্রত্যেক ত্রাণ গ্রহণকারীকে কমপক্ষে পাঁচটি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ করা যেতে পারে বলে বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিশু খাদ্য ক্রয়ের শর্তাবলীতে বলা হয়, শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিধিবিধান ও আর্থিক নিয়মাচার যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। জি টু জি পদ্ধতিতে কিনে মিল্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়োদুধ চলমান কাজে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এ দুধ দেওয়া যাবে না।

এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মসুর ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে। জেলা প্রশাসকরা আরোপিত শর্তাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশু খাদ্য কিনে বিতরণ করবেন এবং নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করবেন।

এনপি-০৫