সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ২৮, ২০২০
০৮:০১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২৮, ২০২০
০৮:০১ পূর্বাহ্ন
দৈনিক নতুন আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে সারা পৃথিবীতে এই মুহূর্তে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ভারত। তার ঠিক আগেই রয়েছে রাশিয়া, ব্রাজিল ও আমেরিকার মতো দেশ, যেগুলিকে করোনার সাম্প্রতিক ভরকেন্দ্র হিসাবেই ধরা হচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার
লকডাউন না হলে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এত দিনে ১৫ থেকে ২০ লাখে পৌঁছে যেত। এমনকি মৃতের সংখ্যা হতে পারত ৮০ হাজার পর্যন্ত। তথ্য ও পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এমনটাই দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এর মধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়েও নতুন আশঙ্কার জায়গাও তৈরি হয়েছে।
তবে আশার ব্যাপার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আরও দাবি, সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ভারতেই করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম।
গত ২৫ মে করোনা সংক্রমণের নিরিখে সারা পৃথিবীতে দশম স্থানে উঠে এসেছিল ভারত। মঙ্গলবারই সারা দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে এক লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮০। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ছ’হাজার ৫৩৫ জন। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক বারই এ দেশে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাটা ছ’হাজারের গন্ডি স্পর্শ করেছে। তথ্য বলছে, গত ২২ মে থেকে শুরু করে টানা পাঁচ দিন ভারতে দৈনিক ছ’হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা ধরা পড়েছে। এই পরিস্থিতিই করোনা সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে আশঙ্কাটা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অবশ্য দাবি, সারা দেশ জুড়েই করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। তার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই দেশে করোনা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। আইসিএমআর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে মোট ৬১০টি ল্যাবরেটরি রয়েছে। সেখানে দৈনিক এক লক্ষেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা চলছে।
জেএসএস/বিএ-০৫