মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মে ১৭, ২০২০
১০:২৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১৭, ২০২০
১০:২৮ পূর্বাহ্ন
মুনজের আহমদ চৌধুরী। যিনি বর্তমানে সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত আছেন। এই পেশাকে তিনি আপন করে নিয়েছেন। অন্য পেশার পাশাপাশি লেখালেখি বা সাংবাদিকতাও তার একটি পেশা। দেশে থাকতেও তিনি দেশের সুনামধন্য গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। অনেক সুনাম অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলা ট্রিবিউনের লন্ডন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
গত মাস চারেক ধরে তিনি দেশে অবস্থান করছেন। লন্ডন থেকে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে দেশে এসেছিলেন। ওমরাহ থেকে ফিরে করোনা পরিস্থিতির কারনে আর লন্ডনে ফেরা হয় নি তাঁর। করোনার এই সময়ে প্রতিদিন সাধারণ মানুষের পাশে আছেন। সাধ্যের সবটুকু নিয়ে থাকার চেষ্টা করছেন অনেকটাই নিরবে।
এবার তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন জেলার খবরের ফেরিওয়ালাদের (সাংবাদিকদের) পাশেও থাকবেন। যাদের সাংবাদিকতা ছাড়া চলবার আর কোনো উৎস নেই। তাই এই মহতি উদ্যোগে জেলার সকলশ্রেনির মানুষ থাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
মুনজের আহমদের বাড়ী জেলার বড়লোখা উপজেলায়। তার বাবা মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। বাবার সুবাধে ছোটবেলা থেকেই জেলা শহরে থাকছেন।
মুনজের আহমদ চৌধুরী বলেন, মৌলভীবাজারে মোটর মেকানিক থেকে মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন কম বেশি সব পেশার মানুষ সরকারী ত্রাণ সহযোগীতা, প্রধানমন্ত্রীর উপহার সব পাচ্ছেন, শুধু সাংবাদিকরা বাদে। সারাদেশে একই অবস্থা। একই বাস্তবতা। দিনশেষে সাংবাদিকের পাশে আসলে কেউ দাড়ায় না, যতটুকু সম্ভব ব্যবহার করে। পরিস্থিতির কারনে ভালো নেই এ জেলার সাত উপজেলায় কর্মরত আমার সহকর্মী সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন মৌলভীবাজার জেলায় একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করেছি। যাঁদের সঙ্গে কাজ করে গেছি, তাদের প্রায় প্রত্যেককে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি, আপনারাও আমাকে চিনেন। কিন্তু, এই মুহুর্তে সবার আর্থিক অবস্থাটা আমার জানা নেই। সাংবাদিকতা ছাড়া আয়ের আর তেমন কোন উৎস নেই এমন মানুষের সংখ্যাও আমার জেলায় অনেক। এই দুঃসময়ে মৌলভীবাজার জেলার আমার অনেক সহকর্মী কারো কাছে হাত পেতে চাইতে পারবেন না। জানি, মুখ ফুটে বলতেও পারছেন না কাউকে।
তিনি আরোও বলেন, অন্তত গত তিন বছর ধরে সাংবাদিকতায় সার্বক্ষনিকভাবে সক্রিয় এবং সাংবাদিকতা ছাড়া চলবার আর কোন উৎস নেই, আমার এমন সহকর্মী, মৌলভীবাজার সদরসহ জেলার সাত উপজেলার অন্তত ৭০ জন পেশাদার সাংবাদিককে দু-তিন দিনের বাজার খরচের টাকাটা পৌঁছে দিতে চাই। শনি, রবি ও সোমবার এই তিন দিনের ভেতরে ইনবক্সে বা আমার নাম্বারে জানাবার (একটি বিকাশ নাম্বারসহ) অনুরোধ রইল। ইনশাআল্লাহ, দুনিয়ার জমিনে আমি ও গ্রহীতা ছাড়া তৃতীয় কোন ব্যাক্তি বিষয়টি জানবেন না।
এসএইচ/বিএ-০২