সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ১৫, ২০২০
১০:৩০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১৫, ২০২০
১০:৩০ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। চীনে প্রাদুর্ভাবের ৯০ দিন পর গত ১০ এপ্রিল কোভিড-১৯ মহামারীতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা লক্ষ ছুঁয়েছিল। তার আট দিন পর ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু এই সংখ্যাকে দেড় লাখ ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তার পরের ৫০ হাজারের মৃত্যু ঘটতে সময় লেগেছিল সাত দিন।
মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখে উন্নীত হতে এরপর আরও আট দিন লেগেছিল। তার ১০ দিন পর মৃতের সংখ্যা আরও ৫০ হাজার বাড়ল।
বৃহস্পতিবার রাতে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হালনাগাদ করা তথ্য বলছে, বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৪ জন। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির হার খানিকটা কমেছে।
এই মৃত্যুর প্রায় এক-তৃতীয়াংশই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। আর মৃত্যুর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ঘটেছে ইউরোপে। করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আক্রান্তদের মধ্যে ২ শতাংশের মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল।
সেটা ছিল ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা; তারপর পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে ৩ মার্চ বলেছিল, মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ৪ শতাংশে যেতে পারে।
কিন্তু মৃতের সংখ্যা যখন লাখ ছাড়ায়, তখন দেখা যায় আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৬ শতাংশ মৃত্যুর করাল গ্রাসে পড়ছে। এই সংখ্যাটি যখন দুই লাখ ছাড়ায়, তখন হারটি বেড়ে ৭ শতাংশে দাঁড়ায়।
মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়ানোর পর হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে, হারটি ৭ এর সামান্য নিচে নেমে এসেছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ নাগাদ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ লাখ। এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৭৬ হাজার জন।
মৃত্যুর মতো আক্রান্তের সংখ্যায়ও বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; মোট কোভিড-১৯ রোগীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশই ওই দেশটির নাগরিক। করোনাভাইরাস মহামারীতে ফাঁকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগো ইউনিভার্সিটি; এই ফাঁকে মানুষের পথে বেরিয়ে এল এই কচ্ছপটি। ছবি: রয়টার্সকরোনাভাইরাস মহামারীতে ফাঁকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগো ইউনিভার্সিটি; এই ফাঁকে মানুষের পথে বেরিয়ে এল এই কচ্ছপটি। ছবি: রয়টার্স
বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ। আর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৫৭৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিপর্যয়কর অবস্থা নিউ ইয়র্কে; ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেএই রাজ্যটিতে। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তদের মধ্যে ৬ শতাংশের মৃত্যু ঘটেছে; যে হার বিপর্যস্ত অন্য দেশগুলোর তুলনায় কম। বেলজিয়ামে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি; সেখানে মোট আক্রান্তের ১৬ দশমিক ৪ শতাংশের মৃত্যু ঘটেছে।
তবে দেশটি এই সময়ে কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ নিয়ে মৃতদেরও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বেলজিয়ামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ হাজার জন, তার মধ্যে ৯ হাজার জনের মৃত্যু ঘটেছে। মৃতের সংখ্যায় ইউরোপে শীর্ষে এখন যুক্তরাজ্য; দেশটিতে ৩৩ হাজার জনের বেশি মারা গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার। মৃতের সংখ্যায় ইতালির অবস্থান এখন তৃতীয়, দেশটিতে এখন অবধি ৩১ হাজার জন মারা গেছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার।
মৃতের সংখ্যায় এর পরে রয়েছে স্পেন; দেশটিতে ২ লাখ ২৮ হাজার আক্রান্তের মধ্যে ২৭ হাজার জন মারা গেছে। ফ্রান্সে পৌনে ২ লাখ আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছে ২৭ হাজার জন।
করোনাভাইরাস মহামারীকে পাত্তা না দেওয়া প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো দেশ ব্রাজিলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ফ্রান্স-জার্মানির চেয়েও এখন বেশি। মৃতের সংখ্যায় দেশটি এখন বিশ্বে ষষ্ঠ অবস্থানে।
বিএ-০১