সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ ফেরত ধান কাটা শ্রমিকদের নিয়ে উৎকন্ঠায় কানাইঘাটবাসী

মাহবুবুর রশিদ, কানাইঘাট


মে ১০, ২০২০
০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১০, ২০২০
০৭:২৮ পূর্বাহ্ন



সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ ফেরত ধান কাটা শ্রমিকদের নিয়ে উৎকন্ঠায় কানাইঘাটবাসী

হবিগঞ্জ জেলা থেকে বোরো ধান কাটতে গিয়ে বাড়িতে ফিরে এসে কোন ধরনের উপসর্গ ছাড়াই করোনায় আক্রান্ত হন কানাইঘাট উপজেলার বানিগ্রাম ইউনিয়নের লামার তালুক গ্রামের ফারুক আহমদ। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনমনে উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। 

ফারুক আহমদের সঙ্গে আরও ১৭ জন বোরো ধান কাটতে হবিগঞ্জ জেলায় গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ফারুকসহ ৩ জনের উপজেলা হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। 

এদিকে ধান কাটতে গিয়ে ফারুক আহমদ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় পর কানাইঘাটে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ শেষে কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েক'শ মানুষ বাড়িতে ফিরেছেন। প্রতিদিন অনেকে ধান কাটা শেষে এলাকায় ফিরে আসায় জনমনে একধরনের উদ্বেগে সৃষ্টি হয়েছে। 

এসব ধান কাটা শ্রমিক কোয়ারেন্টিনে না থেকে এলাকায় অবাধে চলাফেরা করছেন।  এমনকি নমুনা সংগ্রহের জন্য তারা হাসপাতালেও আসছেন না।

বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত যেসব ধান কাটা শ্রমিক কাজ শেষে এলাকায় ফিরে এসেছেন তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ফারুক আহমদসহ কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

ধান কাটা শ্রমিক ফারুকের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসায় তার সঙ্গে হবিগঞ্জ থেকে ফেরত আসা অন্যান্যদের নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয় বানীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদসহ এলাকার লোকজন তাদের অবিলম্বে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

সচেতন মহলসহ অনেক জনপ্রতিনিধি জানান, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলায় বেশি। সম্প্রতি কানাইঘাটে কয়েক'শ মানুষ ধান কেটে সেখান থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরছেন এবং প্রতিদিন আসছেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা দরকার বলে সচেতন মহল মনে করেন। 

গত শুক্রবার (০৮ মে) রাতে যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ফারুক আহমদের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। আর যারা ধান কাটা থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছেন তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা কেউ জানে না। তাদের কারো মাধ্যমে করোনারভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে অনেকে আক্রান্ত হতে পারেন। এবং এলাকায় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। 

একমাত্র তাদের শনাক্ত করে নমুনা সংগ্রহ এবং যারা বিশেষ করে সুনামগঞ্জ থেকে  ধান কাটা শেষে বাড়িতে ফিরছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ানাের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

এমআর/বিএ-০৮