নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ২২, ২০২০
০৭:৪২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০২০
০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
ছবিটি সম্প্রতি নগরের জল্লারপার এলাকা থেকে তুলেছেন আমাদের আলোকচিত্রি- এইচএম শহিদুল ইসলাম।
মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। সংক্রমণ ঠেকাতে এখন ঘরে অনেকটা বন্দি জীবন যাপন করছেন সিলেট নগরের বাসিন্দারা। প্রয়োজন ছাড়া বেরুচ্ছেন না সচেতনরা। কিন্তু ঘরেও শান্তিতে নেই তারা। ঘরবন্দি এসব নগরবাসীর জন্য বড় ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মশা। কয়েক মাস ধরেই নগরে মশার উৎপাত বেড়েই চলেছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না সিটি করপোরেশনের।
নগরের চৌকিদেখি এলাকার বাসিন্দা উম্মে আরিফা জানান, সন্ধ্যার আগেই দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও মশার উপদ্রব থামানো যায় না। বাড়ির আশপাশের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করানো হয়েছে। তবুও থামানো যাচ্ছে না মশার উপদ্রব।
একই কথা জানালেন আম্বরখানার ঘূর্ণি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা রহিমা খানম। তিনি বলেন, ‘মশার উপদ্রব এসময় থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় উপদ্রব একটু বেশি বলেই মনে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরোসল স্প্রে করেও মশা থেকে নিস্তার মিলছে না।’
তবে মশার উপদ্রব কমাতে নগরের কাউন্সিলরদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দুইবার আমার এলাকায় মশা নিধন ওষুধ ছিটানো হয়েছে। তবুও মশার উপদ্রব কমেনি। এক্ষেত্রে প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। ওয়ার্ডের এলাকাগুলোতে প্রতিদিন একবার ওষুধ ছিটানো হলে মশার উপদ্রব কমে আসবে।
নগরের দুটি ওয়ার্ড ব্যতিত সবগুলো এলাকায় মশা নিধন ওষুধ ছিটানো কার্যক্রম শেষ। তবুও কোনো ফল আসেনি বলে স্বীকার করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী দুই একদিনের মধ্যে নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে মশা নিধন ওষুধ ছিটানো শেষ হয়ে যাবে। তবে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। কারণ উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তা খোড়াখুড়িতে ড্রেনগুলো ছিল ঢাকনাহীন। ফলে মশা বংশবিস্তার করে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আমাদের মশা নিধন অভিযান আগামী রবি-সোমবার থেকে আবারও শুরু হবে বলে আশা করছি।
আরসি/বিএ-১৩