আগাম বন্যার শঙ্কায় আতঙ্কে সিলেটের বোরো চাষীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ১৯, ২০২০
০১:২৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০২০
০৫:০৩ পূর্বাহ্ন



আগাম বন্যার শঙ্কায় আতঙ্কে সিলেটের বোরো চাষীরা
বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে আগামী ১০ দিন

সিলেটে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতের পর আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) দিনেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টিপাত চলছিল। ভারী বর্ষণের কারণে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে তীব্র দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন সিলেটের ধান চাষীরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শের পরও শ্রমিক সংকটের কারণে আগেভাগে ধান কাটা শুরু করা সম্ভব হয়নি। ধান কাটা শুরু হলেও একই কারণে তাতে মন্থরগতি। ফলে ভারী বর্ষণের পাশাপাশি পাহাড়ি ঢলে আগাম বন্যায় শঙ্কায় রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছে সিলেটের বোরো চাষীদের।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেট বিভাগে এবার ৪ লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। যা থেকে ১৮ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার মৌসুম শুরু হলেও ধান কাটার শ্রমিকরা তেমন আসেননি। স্থানীয় শ্রমিক যারা আছেন তারা অতিরিক্ত মজুরি দাবি করছেন। এখন বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় কষ্টে বোনা ধান তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ভয়ে আছেন তারা। 

জানা গেছে, সিলেট বিভাগে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ভারতের মেঘালয়, বরাক ও ত্রিপুরা এলাকায়ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর এর প্রভাবে আগাম বন্যায় সিলেট অঞ্চলের বোরো ধান তলিয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত বোরো ধান কাটার অনুরোধ করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস সিলেটের উচ্চ পর্যবেক্ষক লুৎফর রহমান সিলেট মিররকে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত সিলেটে ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ৩৪ মিলিমিটার ও বুধবার ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।’ আগামী ৮ থেকে ১০ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলে আগাম বন্যার বার্তা দেয়। এতে বলা হয়, সিলেট জেলা ছাড়াও হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বোরো জমি প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাত থেকেই ভারী বর্ষণ শুরু  হয়েছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মজুমদার মো. ইলিয়াস সিলেট মিররকে বলেন, ‘সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। ধান এখনও পাকছে। আমরা কৃষকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছি।’

 

এনসি-০২ /এএফ-৬