শামীম আহমদ, বালাগঞ্জ
এপ্রিল ১৮, ২০২০
০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৮, ২০২০
০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) বালাগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বে থাকা ফিল্ড সুপারভাইজার সাব্বির আহমদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ একমাস যাবৎ তাকে কর্মস্থলে দেখা যায়নি। মাসিক শিক্ষক সমন্বয় সভা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দিয়েই তিনি চলে যান বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করে অফিসের মডেল কেয়ারটেকারকে দিয়ে তিনি সব কাজ সেরে নিচ্ছেন। অফিসিয়াল কাজ-কর্মের সেসব ছবি ঘরে বসেই তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে আপলোড করেন। প্রতি সপ্তাহে তাকে সরকারিভাবে ১০ লিটার পেট্রোল বরাদ্দ দেওয়া হলেও তিনি মাসে ২/১ দিন অফিস করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা থাকলেও বালাগঞ্জে তাদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভায় অংশগ্রহণের পর থেকে ফিল্ড সুপারভাইজার সাব্বির আহমদ কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। গত ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বালাগঞ্জ উপজেলায় একাধিক মক্তব চালু ছিল। কিন্তু মসজিদভিত্তিক এসব মক্তবে সরকারি নির্দেশনায় সামাজিক দূরত্ব জোরদারকরণে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোনো তৎপরতা ছিল না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইমাম জানিয়েছেন, উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার সাব্বির আহমদ বিগত কয়েকবছর যাবৎ ইমাম সমিতির কোনো সভা আহ্বান করেননি। কারও মতামত না নিয়েই তিনি তার পছন্দের লোকজন দিয়ে ইমাম সমিতির পকেট কমিটি গঠন করে রেখেছেন। জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন সময় মসজিদভিত্তিক মক্তব্যের ছাত্র-শিক্ষক ও ইমামদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাগজে-কলমে বরাদ্দ দেখানো হলেও তাদেরকে বঞ্চিত করে উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার সেই বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন।
টাকার বিনিময়ে তিনি সহজ কোরআন শিক্ষার কেন্দ্রের অনুমোদন দেন। কিন্তু কেন্দ্রের অনুমোদন পেতে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় অনেকেই মুখ খুলেননি। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে তিনি প্রতিবাদকারীদের অপমান-অপদস্ত করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বালাগঞ্জ উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজার সাব্বির আহমদ বলেন, আমি নিয়মিত অফিস করছি, মাঠেও কাজ করছি। আমরা সেভাবে কোনো বরাদ্দ পাই না, তাই আত্মসাৎ করারও সুযোগ নেই। কেন্দ্রের অনুমোদন পেতে কেউ টাকা দিয়েছেন- এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবেন না। এ ধরণের অভিযোগ অপপ্রচারের শামিল।
আর ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।
এসএ/আরআর