সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ১২, ২০২০
০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০২০
০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জেলার বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মুহাম্মদ আব্দুল কাদের। দুইজনই বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন।
আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, শুক্রবার বিকেলে তার নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল আসে। তিনি এতদিন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আরও আক্রান্ত হয়েছেন বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মুহাম্মদ আব্দুল কাদের। তিনিও বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও জেলার করোনাভাইরাস বিষয়ক মুখপাত্র ডা. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন তিনি।
মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়। তাদের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন এমন কয়েকজন কর্মকর্তার নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে নার্স, ওয়ার্ড বয় ও অ্যাম্বুলেন্স চালক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল গত সোমবার রাত থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে আরএমও আসাদুজ্জামান বলেন, ক্লোরিন মিশ্রিত পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগসহ সম্পূর্ণ হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। শনিবার থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোগীরা আসছে চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮ জনসহ মোট ৮৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮জন। এর আগে ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন।
এএফ/১২