শহীদ মুনির-তপন-জুয়েল স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও স্মরণ সভা

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫
০৪:২৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫
০৪:২৫ পূর্বাহ্ন



শহীদ মুনির-তপন-জুয়েল স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও স্মরণ সভা


মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মঞ্চের উদ্যোগে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় শহীদ মুনির-তপন-জুয়েলের ৩৭তম শহীদ দিবস উপলক্ষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও স্মরনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে শহীদ মুনির-তপন-জুয়েল স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভিন্ন বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ জাসদ সিলেট মহানগরের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে ও বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুল ইসলাম শামীম, সিপিবি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ সিলেট জেলার সম্পাদক সিরাজ আহমেদ, বাসদ সিলেট জেলার সদস্য নাজিকুল ইসলাম রানা, বাংলাদেশ জাসদ সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন সিলেটের সংগঠক আব্দুল করিম কিম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমদ চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি সুমিত কান্তি দাশ পিনাক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি মনীষা ওয়াহিদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল সিলেট জেলার সভাপতি তানজিনা বেগম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু, বাংলাদেশ জাসদ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজাত কবীর, বাংলাদেশ জাসদ সিলেট জেলার সহ-সভাপতি লালমোহন দে, শহীদ তপনের ভাই প্রবীর কুমার দে প্রমুখ।

এসময় বক্তরা বলেন, ‘১৯৮৮সালের সেপ্টেম্বর মাসে সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলন চলাকালে সিলেটে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন শহীদ মুনির-তপন-জুয়েল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে সামরিক স্বৈরাচার মুক্ত একটি গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণের সংগ্রামের লড়াকু সৈনিক ছিলেন মুনির-তপন-জুয়েল। ঘাতক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী শক্তি মুনির-তপন-জুয়েলকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সিলেটে প্রগতিশীল আন্দোলনকে নৎসাৎ করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত এবং হত্যাকান্ডের নিষ্টুর পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। সামরিক স্বৈরাচারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তারা এ হত্যাকান্ড পরিচালনা করে। কিন্তু এই হত্যাকান্ডের পরিচালনা করেও সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন দমন করা যায়নি। বরং শহীদ মুনির-তপন-জুয়েলের শহীদী আত্মদান স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকে গতিশীল করে। এরই ধারাবাহিকতায় একপর্যায়ে পতন ঘটে সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের।’

আজ ৩৭বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য শহীদ মুনির-তপন-জুয়েলের আত্মদান আজও প্রেরণা উৎস হয়ে আছে।” বিজ্ঞপ্তি



এএফ/০১