খেলা ডেস্ক
মার্চ ২৭, ২০২৪
০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ২৭, ২০২৪
১২:৫৭ অপরাহ্ন
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হোম ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। র্যাংকিংয়ে ৮৬ ধাপ এগিয়ে থাকা দলকে পুরো ৯০ মিনিট আটকে রেখেছিল জামাল ভুঁইয়ার দল। কিন্তু ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মুহুর্তে গোল হজম করে বাংলাদেশ। এতে পুরো ম্যাচ দুর্দান্ত খেলেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়লো হাভিয়ের কাবরেরার দল। এর আগে প্রথম লেগে কুয়েতের মাঠে ফিলিস্তিনের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ।
এ নিয়ে টানা সাত ম্যাচে হার দেখলো লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরের রাউন্ডে ওঠাও এখন স্বপ্নই থেকে গেলো। এই হারে ‘আই’ গ্রুপ থেকে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে গেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। তাদের পয়েন্ট ৭। বাংলাদেশের পয়েন্ট ২।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের প্রথমার্ধের লড়াইয়ে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকেই পরীক্ষা দিতে হয়ে বেশ কয়েকবার। মিতুল মারমার দুর্দান্ত কিছু সেভে গোল হজম করতে হয়নি জামাল-তপুদের। অন্যদিকে বাংলাদেশও আক্রমণে গেছে কয়েকবার। একটি সহজ গোলের সুযোগ মিস করেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে ফাহিমের উদ্দেশ্যে থ্রু বল পাঠান। দুই ডিফেন্ডারকে পাশে রাখে ফাহিম বল পেয়েছিলেন ঠিকই। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি ফাহিম। প্রথমার্ধে এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ, যেটি মিস করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধেও ফিলিস্তিনের চোখে চোখ রেখে খেলা শুরু করেন জামাল ভূঁইয়ারা। এতে দ্রুতই গোলের সুযোগ পেয়েও গোল মিসের হতাশা সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। গোল মিস করেছে ফিলিস্তিনও, এতে পুরো কৃতিত্ব গোলবারের সামনে অতন্দ্র প্রহরী মিতুলের। ৭০ মিনিটে বাংলাদেশ একাদশে বদল আনে। জামালের জায়গায় মোহাম্মদ সোহেল রানা ও ফাহিমের বদলি নামে রফিকুল ইসলাম। ফিলিস্তিন এরপরও ৭৪ মিনিটে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। ওদে খারোবের শট মিতুল শুয়ে পড়ে রক্ষা করেছেন। খেলার ৮৩ মিনিটে ব্যাথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন মিতুল। তার পরিবর্তে নামেন মেহেদি হাসান শ্রাবন। ৮৮ মিনিটে জনিকে তুলে ইসা ফয়সালকে মাঠে নামান কোচ।
যোগ করা সময়ে রাকিব গোলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি। বরং দ্রুত খেলা শুরুর জন্য রাকিবকে বাই লাইনের বাইরে টেনে নিয়ে যাওয়ার পর শুরুতে হলুদ কার্ড দেখেন আমিদ মাহাজনেহ। রেফারির সঙ্গে তর্কের কারণে লাল কার্ডও দেখতে হয় তাকে। তাতে দশ জনের দলে পরিণত হয় ফিলিস্তিন। দশ জনের দলের ওপর বাংলাদেশের চড়াও হওয়ার কথা। সেখানে উল্টো বাংলাদেশ রক্ষণের ভুলে ম্যাচ হারে। বক্সের বাম প্রান্তে ফাকায় বল পেয়ে যান ফিলিস্তিনের মাইকেল তেরমানিনি। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ডিফেন্ডার। ১-০ গোলে লিড নেয় অতিথিরা। খেলার বাকি সময় চেষ্টা করেও ফলাফলে পরিবর্তন আনতে পারেনি বাংলাদেশ।
এর আগে পাঁচবারের দেখায় কোনোবারই ফিলিস্তিনকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ১-১ গোলে ড্র করেছিল, এরপর চারবার হেরেছে এই দলের বিপক্ষে।
এএফ/০২