তীরের আরও কাছে এমভি আব্দুল্লাহ, আক্রমণ ঠেকাতে যত কৌশল

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ২০, ২০২৪
০৩:১২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২০, ২০২৪
০২:৪৩ অপরাহ্ন



তীরের আরও কাছে এমভি আব্দুল্লাহ, আক্রমণ ঠেকাতে যত কৌশল
আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর চাপ


আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর চাপের মুখে আবারও এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করেছে জলদস্যুরা। যুদ্ধজাহাজগুলো এমভি আবদুল্লাহর দেড় মাইলের মধ্যে চলে এলে জলদস্যুরা জাহাজটিকে আরও ভেতরে নিয়ে তীরের মাত্র দেড় মাইল দূরে নোঙ্গর করে রেখেছে। 

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

আতিক ইউএ খান জানান, গত দুইদিন আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী জলদস্যুদের  বেশ চাপের মুখে রেখেছে। যুদ্ধজাহাজগুলো এমভি আবদুল্লাহর দেড় মাইলের মধ্যে চলে এলে তারা জাহাজের নোঙ্গর তুলে আরও ভেতরে চলে যায়। বর্তমানে জাহাজটি তীরের মাত্র দেড় মাইল দূরে নোঙ্গর করেছে। তারা (দস্যুরা) এটাও বলেছে যে, বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে ৷ তবে নৌবাহিনী এখনও বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। এই চাপ হয়তো জলদস্যুদের দ্রুত মুক্তিপণ দাবিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি আরও জানান, নৌবাহিনীর চাপের ফলে সব নাবিককে এখন দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে। 

সোমালিয়ান পুলিশের বরাত দিয়ে আতিক ইউএ খান বলেন, সোমালিয়ার স্থানীয় পুলিশ প্রধান দাবি করেছেন, তারা দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন যারা জাহাজে মাদক নিয়ে যাচ্ছিল জলদস্যুদের জন্য।

জাহাজে থাকা খাবারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কদিন জাহাজের খাবার খাওয়ার পর জলদস্যুদের অধিকাংশই আবার নিজেদের জন্য স্থানীয় খাবার আনা-নেওয়া করা শুরু করেছে। এতে জাহাজের খাবার হয়তো কদিন বেশি যেতে পারে। আর জাহাজের নাবিকরাও খাবার বেশিদিন চলার জন্য রাতের খাবার বাদ দিয়েছে। এখন মূলত ইফতার আর সেহেরি তৈরি হচ্ছে সবার জন্য। সচরাচর জাহাজে যেভাবে একাধিক তরকারি তৈরি হয়, সেটা করা হচ্ছে না। এই অভ্যাসটা অস্বাভাবিক কিছু না, বাসায় আমরাও রমজান মাসে এভাবে খাদ্যগ্রহণ করি। 

জাহাজের কার্গো (কয়লা) হোল্ডের বর্তমান পরিবেশ নিরাপদ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, পানি রেশনিং এবং সবসময় ব্রিজে অবস্থান করায় সবার পক্ষে নিয়মিত গোসল করা সম্ভব হচ্ছে না, কাপড় ধোয়াও সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কারও কারও ত্বকে এলার্জি দেখা দিয়েছে। ব্রিজে বাথরুম মাত্র একটা। একই বাথরুম ২৩ জন নাবিক ছাড়াও ২৫ থেকে ৩০ জন জলদস্যু ব্যবহার করছে। কমোডের সিট এরইমধ্যে ভেঙে গেছে। তা ছাড়া জলদস্যুরা খুব নোংরা। ফলে এই বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার ও ব্যবহার করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।


এএফ/০২