সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই: ওবায়দুল কাদের

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ১৬, ২০২৩
০১:০৯ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০২৩
০১:২৩ অপরাহ্ন



সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই: ওবায়দুল কাদের


বিএনপিসহ সব দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যারা নির্বাচনে আসতে চায় তাদের জন্য নির্বাচনের দরজা খোলা আছে। বিএনপি যদি মন পরিবর্তন করে নির্বাচনে আসে তাহলে স্বাগত জানাই।’

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ছাড়া ষড়যন্ত্রের পথে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্র ক্ষমতার ইতিহাস নেই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে গণতন্ত্রের মুকুটও ছিনতাই হয়ে গেল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে জাতি নেতৃত্ব শূন্য করার ষড়যন্ত্র করা হয়। আওয়ামী লীগ ২১ বছর  ক্ষমতায় ছিল না, তখন এই ২১ বছর গণতন্ত্র ছিনতাই হয়ে গেছে। এই ২১ বছর আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র চর্চা করতে দেয়নি। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ।  তারপর খালেদাও একই কায়দায় স্বৈরাচারী গণতন্ত্র কায়েম করেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওপর বারবার হামলা করা হয়েছে। এসব প্রতিরোধ করেই আওয়ামী লীগ আজ এখানে এসেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যে কাজটা করেছেন সেটা হলো দেশের মধ্যে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটা সময় নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন। আজকের নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এই স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কে দিল? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাষ্টার মাইন্ড বিএনপি। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপির কাকে হত্যা করেছে? আওয়ামী লীগ কোনো হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এখন সংলাপ করার কথা বলেন। ২০১৮ সালে সংলাপের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। বহুদল গেলেও বিএনপি তাতে সাড়া দেয়নি। শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়াকে সংলাপে আমন্ত্রণ করেছিলেন। আমাদের দোষ কোথায়, অপরাধ কোথায়?’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ দেশে গণতন্ত্রের নামে পদে পদে কলঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির অবরোধের তো আওয়ামী লীগ বাধা দেয়নি। বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের ডেকে এনে আগুন-সন্ত্রাস করে সরকার পতন করতে পারবে না। তারা সরকারের পতনের নামে আগুন-সন্ত্রাস করবে, ষড়যন্ত্র করবে। যখন শুনেছিলাম বিএনপি পুলিশকে হত্যা করেছে, বিচারপতি বাসায় হামলা করেছে, তখনই আমরা বুঝতে পেরেছি তাদের আন্দোলন বারটা বেজে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল- আওয়ামী লীগ অলিগলি খুঁজে পাবে না। কিন্তু ২৮ তারিখে দেখলাম বিএনপি অলিগলি দিয়ে পালিয়ে গেল। বিএনপির এখন আর নেতা নেই, আছে শুধু আবাসিক প্রতিনিধি। নেত্রীকে বলেছিলাম। তিনি বলেছেন- একজন বাইরে থাক, তাকে ধরার দরকার নেই। তাকে ধরার জন্য সরকার জোর কোনো চেষ্টা করেনি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মিটিং। সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আ্যভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ কার্যক্রম ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আব্দুর রহমান; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম;  সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি প্রমুখ।


বিস্তারিত আসছে... 



এএফ/০৭