নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
০২:১২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
০২:১৩ পূর্বাহ্ন
সিলেট জেলা দলের সাবেক কৃতি ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় (শাটলার) ফারজানা হক মিলির (২৪) ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের বড় বোন রুমানা হক সোহেলী বাদি হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে আজ রবিবার (৮ জানুয়ারি) সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় মিলির স্বামী ও নগরের তেলিহাওর এলাকার সিলভ্যালি টাওয়ারের িবাসিন্দা মো. নূর আলমকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। পুলিশ নূর আলমকে ঘটনার দিন গতকাল শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। আজ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
মামলার এজহারে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রায় চার বছর আগে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়ারকাপন গ্রামের মো. আশকর আলীর ছেলে মো. নূর আলমের সঙে মিলির বিয়ে হয়। নূর আলম জুয়া ও নেশায় আসক্ত ছিল। নেশা ও জুয়ার টাকার জন্য সে প্রায়ই মিলিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। সে মারধর করে মিলির ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়। নগরের জিন্দাবাজারের একটি জুয়েলার্সে মিলির স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রেখেও ঋণ আনে। গত ৪ জানুয়ারি মিলিকে ৫ হাজার টাকা দিতে বললে সে অপরাগতা জানায়। তখন সে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে তাকে আত্মহত্যার প্ররোচণা দেয়। নির্যাতন সইতে না পেরে ৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মিলি তার রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে সোহেলী দরজা খোলার চেষ্টা করতে নূর আলমকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে নূর কর্ণপাত করেনি। একপর্যায়ে সোহেলী তার স্বামী রিপন খানকে দিয়ে দরজা খোলার উদ্যোগ নিয়ে তাতেও নূর আলম বাধা দেন। এই অবস্থায় ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে মিলির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়।
সিলেট কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাহের জানান, মিলির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর বড় বোন রোমানা হক সোহেলী বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি মিলির স্বামী নূর আলমকে শনিবার লাশ উদ্ধারের দিনই আটক করা হয়েছিল। রবিবার ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয়। বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এএফ/০২