শুয়াইব হাসান
নভেম্বর ২৩, ২০২২
০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০২২
০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
সিলেট নগরের সড়ক সম্প্রসারণ ও বক্স ড্রেন নির্মাণে বিভিন্ন বাসাবাড়ি-বাণিজ্যিক ভবনের মালিককে জমি ছাড়তে হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, এসব জমি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তিনগুণ টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু, নগরবাসী সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজেদের কোটি টাকার জমি ছেড়ে দিয়েছেন এবং এখনও দিচ্ছেন।
তবে, আক্ষেপও আছে নগরবাসীর। বিনামূল্যে জমি ছাড়ায় স্বীকৃতি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। ফলে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি বিনামূল্যে ছেড়ে দেওয়ার কোনো প্রমাণপত্র থাকছে না তাদের কাছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে এ নিয়ে জটিলতা কিংবা আবারও জমি ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ হলে নিঃস্ব হতে হবে অনেককে- এমন শঙ্কায় প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিগত সময়ে একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্তদের স্বীকৃতি বা কৃতজ্ঞতাপত্র দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। অতীতে বাজেট বক্তৃতায় প্রকাশ্যে বিষয়টি ঘোষণা দিলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছেন তিনি।
মাসদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সিসিকের ড্রেন নির্মাণ কাজের কয়েকটি ছবি যুক্ত করে পোস্ট করেছেন কুমারপাড়া ২৪-এ এর বাসিন্দা ও সংস্কৃতিকর্মী খোয়াজ রহিম সবুজ।
তিনি লিখেছেন, ‘স্বদেশ আমার, মাটি আমার। তাই বিনামূল্যে তৃতীয়বার নিজ জমি ছেড়ে দিলাম। আর ছাড়িলে ভিটা ছাড়া হইব যে। বাকী জমিখানা কাড়িয়া নিওনা, হে মহানÑ’
খোয়াজ রহিম বলেন, ‘বিভিন্ন সময় নগরের উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসনের স্বার্থে আমরা জমি ছেড়ে দিয়েছি। এবার পাঁচ ফুট জায়গা ছাড়তে হয়েছে। তিনবারে অন্তত ১৫ ফুট জমি ছাড়তে হয়েছে, যা হিসেব করলে আড়াই ডিসিমেল হবে।’
তিন বার নিজেদের মালিকানাধীন জমি ছাড়লেও ক্ষতিপূরণ মিলেনি। এমনকি একটি কাগজও দেননি নগর সংশ্লিষ্টরা। সবুজ বলেন, ‘এই এলাকায় এক শতক জমির দাম প্রায় ৫০ লাখ টাকা। টাকার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, জমি ছাড়ার কারণে বাসার গ্যারেজ ছোট হয়ে গেছে। গাড়ি রাখলে সড়কে চলে যায়। এভাবে রাখতে গেলে ট্রাফিক বিভাগ এসে আমাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।’
২০১৯ নগরের ধোপাদিঘিরপাড়ে কোটি টাকার জমি ছাড়েন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তখন বিষয়টি ফলাও করে প্রচার হলেও পরিবারটিও আক্ষরিক অর্থে লিখিত কোনো স্বীকৃতি পায়নি।
বর্তমানে সিলেট নগরের বিভিন্ন স্থানে বক্স ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। সম্প্রতি নগরের কুয়ারপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ড্রেন নির্মাণের জন্য শান্তি নিকেতন স্কুলের পাশে ৩৩ নম্বর বাসার সীমানাপ্রাচীর ভাঙা হচ্ছে। এমনকি বাসার সেফটি ট্যাংকিও ভাঙার প্রয়োজন পড়েছে।
এই বাসার মালিক মো. ফরহাদ নিজে উপস্থিত থেকে প্রাচীর ভাঙার কাজে সহযোগিতা করছেন। কথা হয় তার সঙ্গে। ফরহাদ জানান, এ নিয়ে তৃতীয়বার তার বাসার জায়গা ছাড়তে হচ্ছে। নাগরিক স্বার্থে সিসিকের কাজে সহযোগিতা করছেন তারা। এবার তিন ফুট জায়গা ছাড়লেও সবমিলিয়ে ৭ ফুট জমি ছেড়ে দিয়েছেন। এভাবে এই এলাকার অন্তত দুইশ পরিবার নিজেদের বাসার জমি ছেড়ে দিচ্ছেন। এর বিনিময়ে কোনো টাকা দাবি করেননি কেউ।
মো. ফরহাদ বলেন, ‘এলাকার স্বার্থে জমি ছেড়ে দিচ্ছি। বিনিময়ে কিছু চাইনি। মেয়র বলেছেনÑপ্রাচীর ও বাসার ওয়াল নতুন করে তৈরি করে দেবেন। আমরা যে জমি ছাড়ছি এটার স্বীকৃতি হিসেবে একটি পত্র দিবেন। আমরা তার কথায় আশাবাদী এবং অপেক্ষায় আছি।’ এভাবে সবাইকে আশা দিয়ে রাখা হচ্ছে।
যাদের ঘরের দেয়াল ভাঙতে হচ্ছে তারা অনেকটা অসহায়। নগরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালীবাড়ি এলাকায় ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। করেরপাড়া যাওয়ার পথে ৯ নম্বর বাসার সামনে চোখ আটকে গেল। ড্রেনের কাজ যেখানে আটকে গেছে তারপরেই ঘরের দেয়াল। অর্থাৎ, ভাঙতে হবে ঘরের একাংশ।
অমলেন্দু দেব এই বাসার মালিক। তার ছেলে ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়। ছেলে জানায়, আমাদের বলা হয়েছিল ৩ ফুট জায়গা ছাড়তে হবে। পাড়ার সবাই যখন ছাড়ছে, আমরাও রাজি হয়েছি। কিন্তু এখন দেখি পাঁচ ফুট জমি নেওয়া হয়েছে। এখন বাসার দেয়াল ভাঙতে হবে। সরকারি কাজে যতটুকু প্রয়োজন হবে জমি ছাড়তে হবেÑএমনটা বলা হয়েছে কাউন্সিলরের অফিস থেকে।
কেবল অমলেন্দু দেব নয়, এ রকম বহু ঘটনা আছে নগরে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কানিশাইল সড়কে প্রবেশের সময় মূল সড়কের বামপাশে ড্রেন নির্মাণের দৃশ্য চোখে পড়ল। শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার ২ নম্বর সড়কের ১১১ নম্বর বাসাটির নাম মুজিব ভিলা। মালিক থাকেন লন্ডনে। ড্রেন নির্মাণ কাজ এসে আটকে গেছে এই বাসার সামনে। বাসার মালিক আদালতে মামলা করেছেন। এজন্য কাজ আর এগোয়নি। একই সড়কের বেশ কয়েকটি মুদির দোকান ভাঙতে হবে। তবে, এ সংশ্লিষ্ট কোনো বাসার মালিকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকের বিপরীতে ৪তলা একটি বাসার সামনে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে সিটি করপোরেশনের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা। হলি ভিলা নামের বাসাটির মূল অংশ ঘেঁষে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। বাসার মালিক নারী প্রবাসে থাকেন। তার ভাই খসরু দাঁড়িয়ে ফটক তৈরির কাজ তদারকি করছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বাসার ওয়াল ভাঙতে হয়নি। তবে, সেফটি ট্যাঙ্কি ভাঙা হয়েছে। প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিলাম, সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা ও কর্মকর্তারা বলেছেন বাসা ভাঙার প্রয়োজন হলেও জায়গা ছাড়তে হবে। আর কিছু বলিনি। যারা রাজি হননি তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে শুনেছি।’
এভাবে বলপ্রয়োগের বহু ঘটনা ঘটছে নগরে। বছর দুয়েক আগে নগরের টিলাগড় ভাটাটিকর এলাকার রফু নামের এক ব্যক্তি জমি ছাড়তে চাননি বলে আদালতে রিট করেছিলেন। পরবর্তীতে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।
নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক নারীর বাসার সেফটি ট্যাঙ্কি ভেঙে জমি ছাড়তে হয়েছে। অন্য বাসায় এক থেকে দেড় ফুট জমি ছাড়লেও তাকে ছাড়তে বলা হয় ৩ ফুট জমি। তিনি বিষয়টি মেনে নিতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে সিসিক সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি বুলডোজার দিয়ে বাসা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে, দুই পক্ষের সমঝোতায় বিষয়টি সুরাহা হয়।
কাজের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতিরও অভিযোগ রয়েছে। ড্রেন নির্মাণে পরিচিত বা প্রভাবশালী ব্যক্তির জমি অনেকটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সিসিক। এ জন্য ড্রেন নির্মাণের সময় বিভিন্ন স্থানে বাঁক তৈরি হয়েছে।
বাসাবাড়ির খালি জায়গা ছাড়ার পাশাপাশি নগরের অধিকাংশ এলাকায় দোকানপাট ভেঙে জমি ছাড়ছেন নাগরিকরা। অনেক ক্ষেত্রে ভেঙে ফেলতে হচ্ছে সম্পূর্ণ দোকানও। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অনেকে। কোথাও কোথাও কাজের দীর্ঘসূত্রতায় মাসের পর মাস দোকানপাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এসব বিষয়েও কর্ণপাত নেই নগর কর্তৃপক্ষের।
ভুক্তভোগীরা জানান, ‘আমরা জায়গা ছাড়ছি এবং রাস্তা বড় হচ্ছে। রাস্তা বড় হয়ে আবারও ঘরের বা দোকানের পাশে চলে আসছে। ভবিষ্যতে আবারও যদি সিটি করপোরেশন রাস্তা বড় করার উদ্যোগ নেয় তখন আমরা কি করব? আমরা যে অতীতে দু-তিনবার জায়গা ছেড়েছি তার প্রমানও তো দেখাতে পারব না।’ এ বিষয়টি নিয়ে তারা শঙ্কায় আছেন বলে জানান।
এদিকে, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে এসব ড্রেন নির্মাণ করলেও যথাযথ পরিকল্পনা, সমন্বয় ও তদারকির অভাবে প্রায় ৫০০ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও প্রকৃতপক্ষে উন্নতি ঘটছে না। নগর ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে ড্রেন নির্মাণ অসম্পূর্ণ রেখে অন্য জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে। ফলে, নির্মিত ড্রেনের একপাশ থেকে অন্য পাশের সংযোগ হচ্ছে না। ড্রেনের পানি সড়ক উপচে প্রবাহিত হচ্ছে। শুরুর দিকে নগরের মিরাবাজার এলাকায় ড্রেনের মধ্যখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে উপরের অংশে ঢালাই দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। পরে, ড্রেন ভেঙে খুঁটিগুলো সরানো হয়। এখনও বহু জায়গায় নির্মাণ হওয়া ড্রেনের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় সিসিক সূত্র।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে এরই মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ৮০০ কোটির টাকা বেশি ব্যয় করা হয়েছে। তবুও, জলাবদ্ধতার উন্নতি ঘটেনি। মাসদিন আগে কিছুক্ষণের বৃষ্টিতে নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে মাত্র ৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরের বেশির ভাগ এলাকা। এর আগে ১৭ জুলাই মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে একই দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত হয়। এমনকি অনেকের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিসিকের ২০২২-২৩ বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় তিনি নতুন অর্থবছরে জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরার কথা জানান। এ টাকা খরচ হলে চার অর্থবছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিসিকের ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ১৩শ কোটি টাকা।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, নগরে ছোট-বড় ১১টি ছড়া প্রবহমান। আছে ১৬টি শাখা ছড়া। এসব ছড়া-খাল সুরমা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ছড়া-খালগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ কিলোমিটার। এর বাইরে নালা-নর্দমা আছে ৯৭০ কিলোমিটার। এতে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার পাকা ড্রেন রয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা জানায়, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ছড়া-খাল খনন ও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
২০১৯ সালে ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে বরাদ্দ আসে ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যয় করা হয় ২৬৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৯৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। প্রকল্পটির আওতায় অন্যান্য কাজের সঙ্গে ৩২৭ কিলোমিটার ড্রেন ও ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে।
নগরের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করলেও জমি অধিগ্রহণে কোনো টাকা খরচ করতে হচ্ছে না। অন্যথায়, এসব উন্নয়ন কাজ আরও দীর্ঘ হতো এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রয়োজন হতো বলে জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তবে, জনগণের ছেড়ে দেওয়া কোটি টাকার বিনিময়ে সামান্য স্বীকৃতি দিতে এত অনীহার কারণ অজানা নগরবাসীর।
অবশ্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অনীহার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নগরবাসী অনেকটা স্বেচ্ছায় জমি ছেড়ে দিয়ে নগর উন্নয়ন কাজ তরান্বিত করছেন। এজন্য আমি ও সিসিক পর্ষদ নগরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ।’
প্রায় দুই হাজার বাসাবাড়ির তালিকা তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘জমি ছেড়ে দিয়েছেন এমন বাসাবাড়ির তালিকা আমরা তৈরি করেছি। একটি কৃতজ্ঞতাপত্র প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নগরবাসীকে বুঝিয়ে দিতে চাই।’
তবে, সময়ক্ষেপনের কারণ হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সিডিউলের অপেক্ষা করছেন বলে জানান মেয়র।