সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ২১, ২০২২
১২:১২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০২২
০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
বিএনপির নেতারা বলেছেন, সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের বাসায় পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। সমাবেশের আগে ১ হাজার ২০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে ৬টি হয়রানিমূলক মামলাও করা হয়েছে। তবে সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে সফলভাবে গণসমাবেশ হয়েছে।
আজ রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় গণসমাবেশ-পরবর্তী এ মতবিনিময় সভায় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা এ কথা বলেন।
নগরের দরগাগেই ট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতারা বলেন, সমাবেশের আগে করা ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটির বাদী পুলিশ। এর মধ্যে হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ২৫০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। বাকি তিনটি মামলা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গণসমাবেশের প্রচারপত্র বিলি করার সময় কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, মৌলভীবাজার থেকে ১৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া বিএনপির ‘নিখোঁজ’ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
আবদুল মঈন বলেন, বর্তমান সরকার শুধু মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়নি, মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ করতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের পাশাপাশি মুক্তভাবে মতপ্রকাশ করার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনও করছে।
আবদুল মঈন আরও বলেন, সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ সফল করার পেছনে হাজারো মানুষের কষ্ট এবং শ্রম লুকিয়ে আছে। ভয় ও শঙ্কা নিয়ে ধর্মঘটের বাধা ডিঙিয়ে মানুষ মাইলের পর মাইল পথ হেঁটে এসেছেন। অনেকে নৌকায় করে এসেছেন। বিএনপির আন্দোলন সফলে দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অনেক ত্যাগ আছে।
সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, সিলেটে গণসমাবেশে মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে দিয়েছে, বিএনপির এই আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তিন দিন আগ থেকে মানুষ খেয়ে না খেয়ে, না ঘুমিয়ে সমাবেশস্থলে পড়ে ছিলেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সমাবেশ ঘিরে বাধা-প্রতিবন্ধকতা হয়নি, এটা বলা যাবে না। এরপরও সিলেটে গণসমাবেশ অনেক শান্তিপূর্ণ ও সফল হয়েছে। এ জন্য সিলেটবাসী ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির সবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট আশিক উদ্দিন, মামুনুর রশিদ মামুন, মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এডভোকেট হাবিবুর রহমান, সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, ইস্তিয়াক সিদ্দিকী, তাজরুল ইসলাম তাজুল, এডভোকেট আবু তাহের, কোহিনূর আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সদস্য সচিব আফসর খাঁন।
এএফ/০৫