পরিবহন ধর্মঘটে কোনো বাস ছাড়েনি, ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক


নভেম্বর ১৯, ২০২২
০৮:৪৬ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০২২
০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন



পরিবহন ধর্মঘটে কোনো বাস ছাড়েনি, ভোগান্তি

দক্ষিণ সুরমার কদমতলী বাস টার্মিনাল এলাকার আজ শনিবার দুপুরের চিত্র।

সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশের দিন আজ শনিবার ডাকা পরিবহন ধর্মঘট ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে সিলেট থেকে ঢাকা বা অন্যান্য অঞ্চলে কোনো দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি। জেলার ভেতরেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চলছে না অন্য যানবাহনও। ফলে যানবাহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেছে অনেকে কাউন্টারে বসে সময় পার করছেন। যদিও পরিবহন শ্রমিক নেতা ও কাউন্টারগুলোতে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার থেকেই বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদতমলী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাস আর যাত্রীদের কোলাহলে মুখর থাকা টার্মিনাল এলাকায় অনেকটা ভূতুড়ে পরিবেশ। রাস্তার দুই পাশে ও বিভিন্ন কাউন্টারের সামনে শত শত বাস ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীদের কোলাহলও নেই। শুধু বিপদগ্রস্ত যাত্রীরা এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছেন- কোনো উপায় মিলে কি না সেই আশায়। সিলেটের বাইরে থাকা অনেকে পরিবহন ধর্মঘটে আটকা পড়ায় নিরুপায় হয়ে বাস কাউন্টারে বসে সময় পার করছেন।   

নারায়নগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী হাসিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছিলাম। পরিকল্পনা ছিল ধর্মঘট শুরুর আগের দিন চলে যাবো। কিন্তু আগের দিন থেকেই বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে বসে আছি।’ তিনি রাত নয়টার বাসের টিকেট কেটেছেন বলে জানান। 

কদমতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেল শাটার অর্ধেকটা নামানো। মামুন পরিবহনের কাউন্টারে কথা হয় অফিস সহকারী রিয়াদ আহমদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে বাস চলাচল বন্ধ। শুক্রবার থেকেই বাস চলছে না।’ কখন ফের শুরু হবে এমন প্রশ্নে বলেন, ‘সন্ধ্যায় ধর্মঘট শেষ হলে ঠিক করা হবে কখন বাস চলা শুরু হবে।’ যাত্রীররা আসছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনেকে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। অনেকে রাতের বা কালকের টিকেট কাটছেন।’

একই চিত্র অন্য বাস কাউন্টারগুলোরও। কোথাও নিরাপত্তাকর্মী বসে আছেন, আবার কোথাও অফিস সহকারী। কোনোটির আবার কাউন্টার খোলাই হয়নি। তবে বেশির ভাগ কাউন্টারেই ব্যবস্থাপক বা বিক্রয় প্রতিনিধি আসেননি।


এএফ/০৬