সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ১০, ২০২২
১১:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১০, ২০২২
১১:২৯ অপরাহ্ন
সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ পুনঃখনন কাজ (ওয়ার্ক ওভার) শেষে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা (টেস্টিং) শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। কূপে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাপ পাওয়া যাচ্ছে।
আজ বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টা পর গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষ হবে। এরপর দৈনিক উৎপাদনের প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে। তবে কূপ থেকে দৈনিক সাত–আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই এ কূপ পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনঃখননকাজ শুরু হয়।
বর্তমানে কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে গ্যাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান। তিনি আরও বলেন, কূপে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। তাঁরা আশা করছেন, আগামী মাস থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক সাত–আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে।
বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড রয়েছে। এগুলো হচ্ছে হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় থ্রি ডি সেসমিক জরিপ চলছে। সেই জরিপ থেকে নতুন গ্যাস ক্ষেত্র পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এসজিএফএল সূত্রে জানা গেছে।
এএফ/০৩