পর্যটন, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সিলেটের পাথরকোয়ারি বন্ধ রাখার দাবি বেলা'র

নিজস্ব প্রতিবেদক


নভেম্বর ০২, ২০২২
০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০২, ২০২২
০৭:৫১ পূর্বাহ্ন



পর্যটন, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সিলেটের পাথরকোয়ারি বন্ধ রাখার দাবি বেলা'র

পর্যটন, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় সিলেটের পাথরকোয়ারিগুলো বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার।

তিনি বলেন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সিলেটের পাথরকোয়ারিগুলো থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখা উচিত। কোনো ধরনের চাপের মুখে বন্ধ থাকা সিলেটের পাথরকোয়ারিগুলো আবার চালু করা উচিত হবে না। তবে নদীর নাব্যতা ঠিক রাখার জন্য বাণিজ্যিকভাবে ইজারা না দিয়ে সরকার নিজ দায়িত্বে প্রয়োজনে নদী খনন এবং বালু ও পাথর অপসারণ করতে পারবে।

মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেটের উদ্যোগে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নগরের পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় সিলেটের পাথরকোয়ারিতে পাথর উত্তোলনের ক্ষতিকর দিক ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সভার শুরুতেই শাহ সাহেদা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বলেন, সিলেটের যে আটটি স্থানে পাথরকোয়ারি অবস্থিত, সেগুলো প্রাকৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন এসব এলাকায় পাথর উত্তোলন ও স্টোন ক্রাশিং মেশিনের মাধ্যমে পাথর ভাঙায় শব্দদূষণ, নদীভাঙন, পানিদূষণ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি রাস্তাঘাট, বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাথর উত্তোলনকালে ২০০৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১০৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে শাহ সাহেদা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাথর উত্তোলনের কারণে সিলেটের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ভূমির ক্ষয়ক্ষতি এবং কোয়ারিগুলোতে প্রাণহানির মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে কয়েক বছর ধরে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় প্রকৃতি আবারও স্বস্থানে ফিরতে শুরু করেছে।

পাথর উত্তোলনের দাবিতে সোমবার থেকে শুরু হওয়া পরিবহন ধর্মঘটকে দুঃখজনক উল্লেখ করে শাহ সাহেদা বলেন, পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হচ্ছে। এ সময় তিনি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটির মাধ্যমে সিলেটের আটটি পাথরকোয়ারিসহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাথর উত্তোলনের কারণে কী কী ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণের দাবি জানান।

এসই/০২