অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু নিউজিল্যান্ডের

খেলা ডেস্ক


অক্টোবর ২২, ২০২২
১০:০৮ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৩, ২০২২
০১:৫৪ পূর্বাহ্ন



অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু নিউজিল্যান্ডের

২০১১ সালের পর কোনো সংস্করণেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। গত নভেম্বরে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে অসহায় হার, এরপর টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম দেখা। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রেকর্ডটাও ভালো নয় কেইন উইলিয়ামসনদের, ১৬ ম্যাচে ১০ হারের বিপরীতে জয় ৪টি!

কিন্তু এসবই আজ সিডনিতে সুপার টুয়েলভে দুই দলের ম্যাচের আগের কথা। ম্যাচের পরের কথা এই, অস্ট্রেলিয়াকে এত অসহায় বানিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর কেউ হারাতে পারেনি! ৮৯ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানের হিসেবে তাদের সবচেয়ে বড় হার।

যা যা করার দরকার, নিউজিল্যান্ড তা শুরু থেকেই দারুণভাবে করেছে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ফিন অ্যালেনের এনে দেওয়া ঝোড়ো শুরুর (১৬ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৪২) পর ডেভন কনওয়ের দারুণ আগ্রাসী কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস (৫৮ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় ৯২) আর শেষ দিকে জিমি নিশামের ক্যামিওতে (১৩ বলে ২ ছক্কায় ২৬) ২০১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে – প্রথম পর্বে কোনো দলই ২০০ করতে পারেনি, সুপার টুয়েলভে প্রথম ম্যাচেই তা দেখে ফেলল বিশ্বকাপ।

জবাবে অস্ট্রেলিয়াকে মনে হচ্ছিল প্রথম পর্বে খেলতে হওয়া কোনো দল! ২০০ রানের জবাবে যা যা করা উচিত নয়, অস্ট্রেলিয়া তার সবই করেছে! পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভার শেষে রান ৩৭/৩। ৫০ পার হয়েছে অষ্টম ওভারের শেষ বলে, এর দুই বল পর দলীয় ৫০ রানেই গ্লেন ফিলিপসের চোখধাঁধানো ক্যাচের শিকার মার্কাস স্টইনিস। ফিফটি-টিফটি দূরের কথা, ৩০-এর ঘরেই যেতে পারেননি কোনো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান। ২০ পেরোতে পেরেছেন দুজন – গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্স।

ইনিংসের অর্ধেক পেরোতে না পেরোতেই (১০ ওভার ২ বল) যখন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপের অর্ধেক ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছে, তা-ও দলকে মাত্র ৬৮ রানে রেখে, এ ম্যাচে জয়-হার নিয়ে সংশয় সম্ভবত তখনই আর কারও ছিল না। শেষ পর্যন্ত যে ১১১ রান পর্যন্ত গেছে সে ম্যাক্সওয়েল আর কামিন্সের দুই বিশ পেরোনো ইনিংসের সৌজন্যেই।

তাতে রেকর্ড হার তো আর ঠেকানো হয়নি! ২০১২ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৭৪ রানে হারই এতদিন ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় হার।

আরএম-০৬