শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৫, ২০২২
০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০২২
০২:১৫ পূর্বাহ্ন
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও কক্ষ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ৪০৯ নং রুমে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দুপুরে গোসলের জন্য গোসলখানা ব্যবহার নিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারী শিমুল মিয়ার সাথে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ গ্রুপের অনুসারী মুসলিম ভূইয়ার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে এ-ব্লকের গোসলখানায় গোসল করছিলেন বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মুসলিম ভূইয়া। তখন- ভেতরে কে আছিস বলে ডাক দেন পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শিমুল মিয়া। এটিকে কেন্দ্র করে উভয়ের মাঝে কথা-কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডা হয়।
পরে ঘটনাটি সজিবুর রহমানের গ্রুপ ও মামুন শাহ-এর গ্রুপের মধ্যে জানাজানি হলে সন্ধ্যায় বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য ৪০৯ নং রুমে বসলে সেখানেও বাকবিতন্ডা দেখা দেয়। নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি ও টেবিল ফ্যান, রুমের তালা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুরের পর দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন দুই গ্রুপের কর্মীদের লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। শিমুল মিয়া সৈয়দ মুজতবা আলী হলে থাকবে মুসলিম ভূইয়াকে বঙ্গবন্ধু হলে বা মেসে চলে যেতে বলেছি।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ বলেন, ছোট একটা বিষয় একটু ঝামেলা হইছিলো। আমরা সমস্যাটির সমাধান করে দিয়েছি।
সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো আবু সাঈদ আরেফিন খান বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে যে সমস্যাটি হয়েছে তা মিমাংসা করো দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে কোন সমস্যা তৈরি না করতে।
এ বিষয়ে জানতে প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
এইচএন-০১/আরএম-০৯