বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে সামাজিক সম্প্রীতি ধ্বংস করা হয়

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
১২:৪০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
১২:৪০ পূর্বাহ্ন



বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে সামাজিক সম্প্রীতি ধ্বংস করা হয়
সিলেট জেলা সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে বিভাগীয় কমিশনার


সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সামাজিক সম্প্রীতি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। উগ্রবাদের বিস্তার ঘটানো হয় দেশে। এই অশুভ তৎপরতা সম্মিলিতভাবে নির্মূল করতে হবে।

তিনি আরও বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে তার আত্মপরিচয় জানাতে হবে। না হলে সে নিজেকে চিনতে পারবেনা। ফলে সহজেই উগ্রবাদী চক্র তাকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ পেয়ে যাবে। বিভাগীয় কমিশনার নতুন প্রজন্মকে সোনার দেশের সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ের সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন অহম্মেদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মো অজবাহার আলী শেখ, আওয়ামী লীগের জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধরণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।


অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সাবেক মহানগর কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ রানা, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপপরিচালক শাহ নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, মণিপুরী সাহিত্য পরিষদের সভাপতি এ কে শেরাম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য, জাতীয় ইমাম সমিতির জেলা সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দিন, সিলেট বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি নিশোতোষ বড়ুয়া ও প্রেসবিটারিয়ান চার্চের প্রতিনিধি ব্রেভারেন্ড ফিলিপ সমাদ্দার। সঞ্চালনা করেন জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্ত অসিত বরণ দাশ গুপ্ত। এছাড়া সকল ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়।

বিশেষ অতিথি রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন অহম্মেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারেনা। ইসলাম শান্তির ধর্ম। তাই উগ্রবাদকে সমর্থন করেনা।

বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের সমাজ উগ্রবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়না। তাই আমরা এই অশুভ চক্রকে প্রতিহত করতে পেরেছি। এখন উন্নত দেশগুলো আমাদেরকে অনুসরণ করছে।

বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাঙালির চির শত্রুরা দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতেই বিভিন্নভাবে অপতৎপরতা চালায়।

বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতিফলন যাতে ঘটে সেদিকে আয়োজকদেরকে কড়া নজর রাখতে হবে।

বিশেষ অতিথি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, স্থিতিশীলতা ও অগ্রযাত্রা নস্যাৎ করতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়; কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে কাঙিক্ষত লক্ষ্যের দিকে ঠিকই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ প্রতিষ্ঠার জন্যেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, দেশের সংবিধানে প্রতিটি ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আছে। তাই সকল ধর্মের অনুসারীরা সমান অধিকার ভোগ করছেন।

এএন/০১