নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
০৯:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
০৯:৪৭ অপরাহ্ন
সিলেট ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও জানেনা অনেকেই। স্থানীয় নির্বাচন অফিসও ব্যবস্থা নেয়নি তেমন প্রচারণার। এর মধ্যে সিলেট মহানগরীর ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে হতে যাচ্ছে পরশু বৃহস্পতিবার। যদিও এখন পর্যন্ত নগরীর অনেক এলাকায় পা পরেনি ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টদের। তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত যেসব শিক্ষক রয়েছেন তারাও কাজ করছেন অর্ধদিবস। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককে পুরো দিনের জন্য ছাড়ছে না। তারা বেলা ১টা পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস করার পর নতুন ভোটারের সন্ধানে যান।
এছাড়াও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ভুল সংশোধনের জন্য নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় নির্বাচন অফিস ছাড়াও জেলা ও আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে হেল্ফ ডেক্সের সহযোগিতাও পান না লোকজন। উল্টো রয়েছে দালালদের তৎপরতা। রয়েছে জনবল সংকট।
সিলেট বিভাগের ৮টি উপজেলায় নেই নির্বাচন কর্মকর্তা। এর মধ্যে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর, সুনামগঞ্জ জেলার হাওর বেস্টিত শাল্লা, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর, হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন কর্মকর্তা নেই। ফলে এসব উপজেলার লোকজন নতুন ভোটার হওয়া ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে গিয়ে ভোগান্তির পাশাপাশি দীর্ঘসূত্রতার কবলে রয়েছেন।
স্থানীয় নির্বাচন অফিসকে দালাল মুক্ত করে নাগরিকদের স্বাভাবিক সেবা নিশ্চিত করার আহবান জানান স্থানীয় সাংবাদিকরা। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হলেও সোমবার সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২২ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
নগরীর মেন্দিবাগস্থ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির। সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার সিলেট মোহাম্মদ শুকুর মিয়ার পরিচালনা মতবিনিময় সভায় ভোটের তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। সভায় সাংবাদিকরা ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ধীরগতি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনে লোকজনের ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন। তারা জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে শুরু করে আঞ্চলিক অফিস পর্যন্ত গিয়ে পদে পদে বিড়ম্বনার শিকার হন মানুষ। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির এই অবস্থা উত্তরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি এম এ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ রেনু, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, সাংবাদিক আল আজাদ, এম এ মতিন, আব্দুল বাতিন ফয়ছল, মাধব কর্মকার প্রমুখ।
এএন/০১