সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
০১:২৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
বরেণ্য আলেম, রাজনিতিবীদ, আল্লামা হোসাইন আহমদ মদনী রহ. এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নগরের দরগা গেইটস্থ শহীদ সুলেমান হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, শায়খুল ইসলাম মাওলানা মাদানী রহ. ছিলেন ধীমান আলেম, প্রাজ্ঞ মুহাদ্দিস, বক্তা, বুজুর্গ ও পীরে তরীকত, বিজ্ঞ রাজনীতিবীদ, দুরদর্শী চিন্তাবীদ ও সাধক এবং সমাজসেবক আলেম ছিলেন৷ যার ইলমী ও ইসলাহী কাজের পুঙ্খানোপুঙ্খ বিবরণ লেখা সম্ভব নয়৷ তার সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল তিনি এ উপমহাদেশ ততা ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশ বিতাড়নে আজন্ম লড়াই করেছেন, তিনি ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনের আপোসহীন সেনাপতি।
সিলেট-সুরমা নদীর উত্তর পারস্থ কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলা জমিয়ত নেতৃবৃন্দের আহ্বানে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
কানাইঘাট উপজেলা জমিয়তের সভাপতি বরেণ্য আলেম মাওলানা শায়খ শফিকুল হক সুরইঘাটী এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা শায়খ আব্দুল মুছব্বীরের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্য মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী বলেন, ‘ভারতীয় উপমহাদেশে মাওলানা মাদানীর মতো দ্বীন ও মিল্লত এবং দেশ-জাতির জন্য জীবন উৎসর্গকারী অপর কোনো ব্যক্তির দৃষ্টান্ত বিরল৷ মাদরাসার দরসে সর্বোচ্চ কিতাবের পাঠদান, রাতভর খানকায় আত্মশুদ্ধির সাধনা, দিনের পর দিন ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে মাঠে ময়দানে নেতৃত্বদান, ব্রিটিশ বেনিয়াগুষ্ঠির চরম নির্যাতনের সামনে বুক পেতে দেওয়া, মামলা, জেল, যুলুম-নির্যাতন সহ্য করা এবং স্বজাতীয় হিংসুক-নিন্দুকের সকল যন্ত্রণা-যাতনা মোকাবেলা করে দেশ-জাতি ও মুসলিম মিল্লাতের জন্য নিজের জীবন বিলীনকারী একমাত্র ব্যক্তি মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানী রহ।’
বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী ।
তিনি বলেন, আল্লামা সাইয়েদ হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ.) ভারতবর্ষের মুসলিম ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। যিনি একই সঙ্গে ভারতবর্ষের মুসলমানের বুদ্ধিবৃত্তিক, রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক পথনির্দেশক ছিলেন। জীবনের দীর্ঘ সময় তিনি ঐতিহ্যবাহী দ্বিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল দেওবন্দের ‘সদরে মুদাররিস’ (পরিচালক) এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় দল ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ’-এর সভাপতি ছিলেন। তিনি মাদানী ফর্মুলার নামি যে সুচিন্তিত ম্যাপ তৈরি করেছিলেনে তা বাস্তবায়িত হলে এই উপমহাদেশ হতো মুসলিমদের উপমহাদেশ।
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা মুফতি এবাদুর রহমান কাসিমী, মাওলানা মাসউদ আজহার, মাওলানা নাজিম উদ্দীন ও মাওলানা বাহাউদ্দীন বাহারের যৌথ পরিচালনায় সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় জমিয়তের সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফিজ আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুখলিসুর রহমান রাজাগঞ্জী, কেন্দ্রীয় সদস্য নূর আহমদ কাসেমী, শায়খ সাইফুল্লাহ, ইয়াহইয়া খান, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা মাহবুব শিরাজী, ডক্টর মাওলানা জিয়াউর রহমান।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা কুতুব উদ্দিন, সদর উপজেলা জমিয়তের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা শায়খ আব্দুল হাই, গোয়াইনঘাট উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েস, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা সিকন্দর আলী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আলী, মাওলানা সোহেল আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা জমিয়তের সহসভাপতি মুফতি জামাল উদ্দীন হক্কানি, মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা রেজাউল কারীম। পর্যায়ক্রমে ছাত্র ও যুব জমিয়ত নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা উবায়দুল্লাহ, মাওলানা জাকির হোসেন, শাহিদ হাতিমী, মাওলানা লুকমান হাকিম, মাওলানা সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।