নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
০১:১৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
সিলেটের গোলাপগঞ্জে কবিরাজের কাছে গিয়ে এক গৃহবধূ (২৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) আদালতের মধ্যেমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ এলাকা থেকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত কবিরাজের নাম সুহেল মিয়া (৩৫)। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় সুহেল মিয়ার নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূ গোলাপগঞ্জের কবিরাজ সুহেল মিয়ার কাছে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা আরও কয়েকজন রোগী ছিলেন। তবে সুহেল মিয়া ও তাঁর এক চাচা অন্যদের চিকিৎসা দিলেও ওই গৃহবধূকে বসিয়ে রাখেন। পরে অন্য রোগীরা চলে গেলে সন্ধ্যার দিকে সুহেল মিয়া ও তাঁর চাচা ওই গৃহবধূকে একটি কক্ষে ডেকে নেন। এ সুহেল মিয়া ও তাঁর চাচা তাঁকে ধর্ষণ করেন।
একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়েন। পরে রাতে তাঁর জ্ঞান ফিরলে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। পরে পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি হন। পরে ৪ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার পর গতকাল সুহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম সিলেট মিরর-কে বলেন, মামলার আসামি সুহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’ গ্রেপ্তারকৃত সুহেলকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এএফ/৪