সিলেট মিরর ডেস্ক
জানুয়ারি ১৩, ২০২২
০৩:০০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ১৩, ২০২২
০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ’খালেদা জিয়া মানুষের কথা বলেন এই জন্যই তাকে জেলে রেখে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’ দলের নেতাকর্মীদের রাজপথে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে তিনি এসময় বলেন, ‘রাজপথকে প্রকম্পিত করে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। গুলি খেতে হবে। রাজপথ রঞ্জিত করতে হবে।’
আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) সিলেট শহরতলীর টুকেরবাজারে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ প্রদানের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টুকু বলেন, ‘গণতন্ত্রের কান্ডারি বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভাষা বুঝেন। তিনি আজ পর্যন্ত যত জায়গা থেকে যতটা নির্বাচন করেছেন সবগুলো নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছেন। আর খালেদা জিয়াকে যিনি বন্দী করে রেখেছেন তিনি নির্বাচনে সাদেক হোসেন খোকা ও মেজর মান্নানের কাছে পর্যন্ত পরাজিত হয়েছেন। আর পরাজিত হওয়ার পরে ঢাকায় আর নির্বাচন করেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে সংসদীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। তিনি কেয়াটেকার সরকার দিয়েছিলেন এবং এর পরের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রী হয়েছিলেন। একেই বলে গণতন্ত্র। তিনি চাইলে সেদিন আন্দোলন দমিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, কারণ তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’
টুকু আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ইতিহাস পাল্টিয়ে ফেলছে। আজকে ইতিহাসে একটামাত্র পাতা আছে, যে ওরা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধে আর কেউ যায় নাই। তবে বাকীরা গিয়ে কী করেছে। মূলত: এ দেশের খেঁটে খাওয়া মানুষ, লুঙ্গি পরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, এনামুল হক, তাহসীনা রুশদীর লুনা, দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, কে্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী প্রমুখ।
সকাল থেকেই সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এই সমাবেশস্থলে এসে হাজির হন। বিকেলে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় টুকেরবাজারের মাঠ।
আরসি-০৮/এএফ-০১