নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
০২:১২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
০২:১২ পূর্বাহ্ন
উন্নত দেশের আদলে তারের জঞ্জালমুক্ত নগর গড়ার পাইলট কার্যক্রম সিলেটে শুরু হয় ২০১৯ সালে। ঐ বছর ‘সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন’ শীর্ষক ২ হাজার ৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরের কিছু এলাকার বিদ্যুৎলাইন ভূগর্ভে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়।
দরগাহ গেইট থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম প্রশংসায় ভাসে। এরপর পর্যায়ক্রমে আরও কিছু এলাকায় উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়। এরই মধ্যে ১৪ কিলোমিটার সড়কের বিদ্যুৎলাইন মাটির নিচ দিয়ে টানা হয়েছে। আরও ২৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎলাইন ভূগর্ভে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বাজেট বক্তৃতায় এমনটাই জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। যদিও, কাজটি করছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
মেয়র বলেন, ‘সিলেট মহানগরে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুঁকিপূর্ণ তার-এর জঞ্জাল সরানো এবং নিরাপদ বিদ্যুতায়নের লক্ষে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল নির্মাণের কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এই কাজ বাস্তবায়ন করছে পিডিবি এবং সহযোগী হিসেবে আছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এখন পর্যন্ত সিটি এলাকায় সাড়ে ১৪ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।’
প্রথম ধাপে বিদ্যুতের আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন টানার কাজ শুরু হয় নগরের সাপ্লাই এলাকায় অবস্থিতি বিদ্যুৎ অফিস থেকে। আম্বরখানা হয়ে শাহজালাল (রহ.) মাজার সড়কে পাইলট কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়। ২০২০ সালে এটি সম্পাদন করে পরে আম্বরখানা থেকে চৌহাট্টা হয়ে বন্দরবাজার পর্যন্ত এবং জিন্দাবাজার থেকে পূর্ব জিন্দাবাজার পর্যন্ত সড়কের পাশ দিয়ে মাটির নিচে বিদ্যুৎলাইন টানা হয়।
দ্বিতীয় ধাপে যেসব এলাকায় টানা হবে ভূগর্ভস্থ লাইন: জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে শাহী ঈদগাহ, শাহী ঈদগাহ-কুমারপাড়া-নাইওরপুল সড়ক, নাইওরপুল-হাফিজ কমপ্লেক্স হয়ে-বন্দরবাজার সড়ক পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন টানার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি চৌহাট্টা-কুমারপাড়া সড়ক, নয়াসড়ক-জেলরোড সড়ক, নয়াসড়ক-কাজীটুলা সড়ক, নাইওরপুর-সুবহানীঘাট-উপশহর-শিবগঞ্জ সড়ক, সুরমা মার্কেট-শেখঘাট জিতু মিয়া পয়েন্ট-লামাবাজার-রিকাবীবাজার সড়ক, জেলরোড-বন্দরবাজার সড়কগুলোতে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল নির্মাণকাজের জন্য প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলের দৈর্ঘের পরিমান হবে প্রায় ২৫ কিলোমিটার।
এসএইচ/বিএ-০৬