বিদ্যালয়ের দপ্তরীর বাল্যবিয়ে নিয়ে তোলপাড়

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
১১:১২ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
১১:১২ অপরাহ্ন



বিদ্যালয়ের দপ্তরীর বাল্যবিয়ে নিয়ে তোলপাড়

সিলেটের বিয়ানীবাজারে এক কিশোরীকে নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। ওই কিশোরী এখন দপ্তরীর স্ত্রী বলে জানা গেছে। দপ্তরি কর্তৃক বাল্যবিয়ের এমন ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরেও লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।

জানা যায়, উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মইয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী হারুন আলী (৩৬) গত ১৬ আগস্ট কুড়ার বাজার ইউনিয়নের খশির পাটনিপাড়া এলাকার এক কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বিয়ানীবাজার থানায় মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়রি (নম্বর ৮৯৭) করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কতিপয় ব্যক্তির আশ্বাসে কিশোরীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন দপ্তরী হারুন। তিনি জানান, পালিয়ে যাওয়া কিশোরী এখন তার স্ত্রী। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে তাকে তিনি বিয়ে করেছেন।

সূত্র জানায়, কুড়ার বাজার ইউনিয়নের জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং টিকা কার্ড অনুযায়ী ওই কিশোরীর জন্ম তারিখ ১৪-০২-২০০৬ ইংরেজি। কিন্তু দপ্তরী হারুন সিলেট সিটি করপোরেশনের একটি জন্ম নিবন্ধন সনদের আলোকে ওই কিশোরীকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে বিয়ে করেন। সিটি করপোরেশনের যে জন্ম সনদ ব্যবহার করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।

মইয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রমিলা বেগম জানান, দপ্তরীর অনৈতিক কর্মকাণ্ড শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। পরবর্তী সকল বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। স্কুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার আচরণও ছিল সন্দেহজনক। এ নিয়ে কয়েকবার বিদ্যালয়ে সালিশও হয়েছে। 

বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোমান মিয়া বলেন, বাল্যবিয়ের এমন ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা ওই দপ্তরীর বেতন-ভাতা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এসএ/আরআর-০৪