জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০৭:৩৭ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০৮:০৬ অপরাহ্ন
অবশেষে সারাদেশের ন্যায় জৈন্তাপুর উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে ৷ অভিভাবকদের মাঝে ও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
একটানা এক বছর ৬ মাস পরে আজ রবিবার স্বল্প পরিসরে খুলে দেয়া হয়েছে উপজেলার সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) মহামারী আকার ধারণ করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার তারিখ ঠিক করলে ও সংক্রমণের উর্ধ্বগতি থাকার কারনে আর খোলা হয়নি।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটেছে ৷ অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে ৷ দীর্ঘদিন পর ঘরমুখি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে চলছে যেন উৎসবের আমেজ।
সরেজমিনে, জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষক ও কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা স্কুলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করছে, প্রাণোচ্ছল রুপ ফিরে পেয়েছে শিক্ষাঙ্গন।
নিজপাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া জানায়, ক্লাসে ফিরে আনন্দ লাগছে ৷ দীর্ঘ দিন পর যেন সব কিছু অপরিচিত লাগছে৷ সে এখন হতে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসতে পারবে।
অভিভাবক নূরুল ইসলাম , নাজমুল ইসলাম, আবুল হোসেন মো. হানিফ, শাহেদ আহমদ, আব্দুল হালিম, খায়রুল ইসলাম বলেন, স্বল্প পরিসরে হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান ৷ তিনি আরও বলেন, টানা বন্ধের কারণে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হয়েছে ৷ ক্ষতি পুরণ করতে হলে শিক্ষকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।
খারুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিন্টু দাশ, নিজপাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আলতাফুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো যেন বিরাণ ভুমিতে পরিণত হয়েছিল। আজ হতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাউরভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠান খোলায় প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ৷ শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ক্লাস এবং করোনা ক্ষতি পুশিয়ে নিতে আমাদের অতিরিক্ত সময় ক্লাস দিতে হবে ৷ এজন্য প্রতিষ্ঠান সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছে ৷
ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর এনামুল হক সরদার বলেন, প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় আমাদের আনন্দ ফিরে এসেছে ৷ সেই সাথে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে ক্লাসে ফিরেছে ৷ অচিরেই পূর্বের ধারাবাহিকতায় ক্লাস পরিচালনা করা হবে ৷ এজন্য শিক্ষকদের কিছুটা অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে এজন্য আমার প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে ৷
জৈন্তাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল জলিল তালুকদার বলেন, উপজেলার সরকারি বেসরকারি কিন্ডার গার্টেন সহ মোট ১০৫টি বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে একযোগে ক্লাস শুরু হয়েছে ৷
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সুলেমান হোসাইন বলেন, উপজেলার উচ্চ মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা মিলে মোট ২৫টি প্রতিষ্টানে সব ধরনের সরকারি নির্দেশনা মেনেই ক্লাস চালু হয়েছে ৷ পর্যায়ক্রমে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে মনিটরিং করা হবে ৷
আর কে/বি এন-০৩