গোয়াইনঘাটের স্কুলগুলোতে প্রাণ ফিরেছে

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০৭:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০৮:০২ অপরাহ্ন



গোয়াইনঘাটের স্কুলগুলোতে প্রাণ ফিরেছে

দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস পর গতকাল রবিবার থেকে খুলেছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরুর পর সকাল থেকেই গোয়াইনঘাট উপজেলার সকল বিদ্যালয়গুলো যেন প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে।

দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের কাছে পেয়ে আনন্দে মাতোয়ারা ছিলো শিক্ষার্থীরা। তাদের চোখে-মুখে ছিলো তৃপ্তির হাসি।

উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা স্কুলড্রেস পরে বিদ্যালয়মুখি হতে থাকে। কাঁধে ব্যাগ আর কেউ হাতে বই নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে। ঘরবন্দী জীবন থেকে স্কুলে গিয়ে খুশি তাঁরা।

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিন জাফলংয়ের ঐতিহ্যবাহী আমির মিয়া স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে প্রবেশের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময় সবাইকেই মুখে মাস্কও পড়তে দেখা গেছে।

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাত আক্তার জানায়, দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ে আসতে পেরে খুব খুশি সে। এতোদিন ঘরবন্দী থাকার পর হঠাৎ স্কুল খোলার খবরে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রিয় পোশাক পড়ে নিজের প্রিয় প্রতিষ্ঠানে এসেছে। সহপাঠীদের একসাথে দেখে খুব আপ্লুত সে।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্কুলে ফেরা। সকাল থেকেই স্কুলের পোশাক পরিধান করে এসেছে তারা। প্রিয় সহপাঠী ও শিক্ষদের দেখে খুব ভালো লাগছে।

স্কুল খোলার খবর আসার পর থেকেই গত কয়েকদিন থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। ভবন, শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি ও আঙিনার চারপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন।

বল্লাপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান জানান, প্রায় ১৮ মাস পর খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। স্কুলে আসতে পেরে শিক্ষার্থীরাও আনন্দিত। বিদ্যালয়ে উপস্থিতিও ভালো।

আমির মিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিদ্যালয় খোলার খবর পাওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ রাখছিল। বিদ্যালয়ে আসার পর তাদের মধ্যে খুশির আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। প্রত্যেকেই সহপাঠী বন্ধুদের পেয়ে মহাখুশি। তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে প্রবেশের পূর্বে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এম এম/বি এন-০২