'ডা. আবুল লেইছ ছিলেন মানবতার সেবক'

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০১:০০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০১:০০ পূর্বাহ্ন



'ডা. আবুল লেইছ ছিলেন মানবতার সেবক'
বিশ্বনাথে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা

জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল করিম শায়খে কৌড়িয়া (রহ.) এর ভাতিজা, সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল লেইছ স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মরহুমের মামার বাড়ি উপজেলার শহীদ সুলেমান নগর গ্রামের বড় বাড়ির উদ্যোগে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর উপজেলার জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া মাদরাসার হলরুমে এ শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মাদরাসার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা মুহসিন আহমদের সভাপতিত্বে শোকসভায় বক্তারা বলেন, ডা. সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল লেইছ শুধু বিশ্বনাথের নয়, তিনি ছিলেন সিলেটবাসীর গর্ব। তিনি ছিলেন উদার ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মধ্যে ছিল আধ্যাত্মিক অনেক গুণাবলী। তিনি প্রবাসের আয়েসী জীবন ত্যাগ করে মানবতার সেবক হিসেবে সারাজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।

মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা যহীরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন, শোকসভার অন্যতম উদ্যোক্তা মরহুমের মামাতো ভাই সমাজসেবক মাওলানা বুরহান হোসেন, সিলেট জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তৌহিদুল ইসলাম ইমদাদ, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, ছহিফাগঞ্জ সুলতানিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রউফ, কৌড়িয়া মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আজুমন্দ আল জালালী, সমাজসেবক আরশ আলী গনি, মরহুমের ডা. সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল লেইছের পুত্র সৈয়দ মুহাম্মদ সায়েম, আত্মীয় গোলাম রব হাসনু, সাজিদুর রহমান সুহেল, গোলাম আজম মঞ্জু, পাবেল খান ও সংগঠক ময়নুল ইসলাম। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাদরাসার ছাত্র রুহুল আমিন।

অনুষ্ঠানে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান সালেহ, এলাকার মুরব্বি আকদ্দুছ আলী, গৌছ আলী, মতছির আলী ও চান্দ আলীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃতী সন্তান ডা. সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল লেইছ (৯১) গত ২০ আগস্ট দিবাগত রাতে সিলেট নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকার নিজ বাসায় মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।


এমএ/আরআর-১৩