সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
সিলেট নগরের শিবগঞ্জের সোনাপাড়া নবারুন এলাকায় অন্যের বাসার ব্যবহৃত রাস্তাকে নিজের রাস্তা দেখিয়ে ছয়তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে একেএম সৈয়দ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন নবারুন ২ নম্বর বাসার মালিক ফিনল্যান্ড প্রবাসী সাজ্জাদুর রহমান মুন্না।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ফিনল্যান্ডে বসবাস করছি। এই সুযোগে আমার ভূমি সংলগ্ন রাস্তাবিহীন জমিতে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেন একেএম সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এজন্য তার এক দাগ থেকে ২৮ পয়েন্ট এবং অন্যদাগ থেকে ৫৮ পয়েন্ট জমি নিজের ভবনের ভিতরে অর্ন্তভূক্তও করে নেন তিনি। নিজস্ব রাস্তা না থাকলেও কৌশলে সিটি করপোরেশন থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেন নজরুল।’
তিনি আরও বলেন, বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আমার বাসার দেওয়াল ও রাস্তার সামনের গেইটের দুটি পিলার ভেঙ্গে ফেলেন তিনি। এছাড়া গেইটের সামনে মাটি দিয়ে উঁচু করে রেখেছেন। রাস্তায় নির্মাণাধীন ড্রেনও মাটি দিয়ে ভরাট করার কারণে বৃষ্টিতে বাসায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনকি চেয়ারম্যান নজরুলের ভবনের নির্মাণ সামগ্রীও আমার বাসায় এসে পড়ছে। এতে আমি চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছি।
প্রবাসী মুন্না বলেন, আমার বাসায় নারী-শিশু এবং বৃদ্ধ বাবা-মা থাকেন। এ অবস্থায় চেয়ারম্যান নজরুলের বাসার সীমানা দেওয়াল আমার বাসায় যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এতে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে। এছাড়া ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা করে এবং ড্রেন জোরপূর্বক মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়। বিষয়টি আমি পুলিশকে অবহিত করেছি। তখন শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের নির্দেশনার পরেও তারা কাজ বন্ধ না রাখায় আমি বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবগত করলে তা সামাজিকভাবে সমাধানে আশ্বাস প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু বেশ কয়েক বার সালিশ আয়োজন করা হলেও চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সালিশ ব্যক্তিত্বদের সামনেই আমার সঙ্গে অসদাচরণমূলক ব্যবহার করেন। সালিশরাও তার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। আর সালিশ বৈঠকে সালিশদের সঙ্গে নজরুল স্বীকার করে বলেন, তার ভবনের কোনো রাস্তা নেই। তবে কি তিনি হাওয়ার উপরে ছয়তলা ভবনের অনুমোদন নিয়েছেন?’
প্রবাসী মুন্না আরও বলেন, সামাজিক বিচারে কোনো সুরাহা না হওয়াতে সিটি করপোরেশনে তিনি অভিযোগ করার পর সার্ভে করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল কাজ বন্ধ রাখতে। কিন্তু নজরুল তা আমলে নেননি। চেয়ারম্যান নজরুলের এমন অবৈধ কান্ডের কারণে আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। পাশাপাশি বার বার ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে আমাকে। এজন্য আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিনও হতে হচ্ছে।
তিনি জালিয়াত ও দখলদার এ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং তার রাস্তা ও জমি উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিএ-০৯