বৃক্ষে-ফুলে বদলে যাচ্ছে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস

আশরাফ আহমেদ, এমসি কলেজ


সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
১২:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
১২:০৪ পূর্বাহ্ন



বৃক্ষে-ফুলে বদলে যাচ্ছে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ। টিলাঘেরা ক্যাম্পাসটির রূপ-লাবণ্য মুগ্ধ করে সবাইকে। প্রকৃতি যেন উদার হয়ে রূপ-লাবণ্যে ভরিয়ে দিয়েছে তৎকালীন আসাম প্রদেশের একমাত্র এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে। শতবর্ষী কলেজটিকে আরও নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে ক্রমাগত ব্যতিক্রমী সব উদ্যোগ নিয়ে যাচ্ছে বর্তমান কলেজ প্রশাসন।

কলেজের নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো কলেজটিকে নজরদারির আওতায় আনার কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে তৈরি করা হয়েছে প্রেরণা আর সচেতনতামূলক বিভিন্ন সাইনবোর্ড। এগিয়ে চলছে ১০ তলা একাডেমিক ভবনের কাজও। এসবের মধ্যে সবচেয়ে আনন্দের খবর হলো, শতবর্ষী কলেজটিতে এবার রোপণ করা হয়েছে ফলদ, বনজ, ভেষজ ও ফুলের ৭০ হাজার গাছের চারা।

এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সালেহ আহমদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশাল এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সিলেটের বন বিভাগ। সবুজ অরণ্যে মায়াময় এমসি কলেজের ইতিহাসে এর আগে এত বড় পরিসরে বৃক্ষরোপণ হয়নি। গাছের চারাগুলো রোপণ করার আগে ক্যাম্পাসের আঙিনা আর টিলাগুলোতে থাকা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে।

'দেশের বায়ু দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করব খাঁটি'- এই স্লোগানকে সামনে রেখে পরবর্তীতে নির্দিষ্ট দূরত্ব ও নিয়ম মেনে চারাগুলো রোপণ করা হয়। উঁচু-নিচু টিলায় সারি সারি গাছ ১৪৪ একরের ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পাসটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সিলেটের স্বনামধন্য এ প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সালেহ আহমদ বলেন, ১২৯ বছরের পুরোনো এ বিদ্যাপীঠে অনেকগুলো টিলা আছে। সেগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন আগাছা গজিয়ে উঠেছে। এই টিলাগুলো পরিষ্কার করে গাছ লাগানোর বিষয়টা প্রথম থেকেই মাথায় ছিল। এ জন্য সিলেটের বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কর্তৃপক্ষ আমাদের আবেদনটি আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে। এরপর কলেজের ছাত্রাবাসে প্রায় ৮০ হাজার বীজ বপন করে নার্সারি করা হয়। সেখান থেকে ৭০ হাজারের মতো চারা কলেজের বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়।

অধ্যক্ষ বলেন, এর জন্য কলেজের টিলাগুলোকে আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে, যাতে করে গাছগুলোর বেড়ে ওঠায় কোনো সমস্যা না হয়। গাছগুলোর পরিচর্যার জন্য সবসময় কিছু মানুষ দায়িত্বপালন করবেন। গাছগুলো বেড়ে উঠলে সিলেটের এই ক্যাম্পাসটি দেখতে আরও বেশি চমৎকার লাগবে।


এএ/আরআর-০৭