কবি লাভলী চৌধুরী আর নেই, বাদ এশা জানাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
০৯:৩৭ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
১০:৩৩ অপরাহ্ন



কবি লাভলী চৌধুরী আর নেই, বাদ এশা জানাজা

সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের পরিচিত মুখ ষাটের দশকের কবি ও কথাসাহিত্যিক লাভলী চৌধুরী আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

 আজ শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটায় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি দুই সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বিষয়টি সিলেট মিররকে নিশ্চিত করেছেন গল্পকার সেলিম আউয়াল।

এর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে কবি লাভলী চৌধুরীকে নগরের দরগাহ গেইটস্থ নূরজাহান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিল। কবির নামেই তার নিজ এলাকা সিলেট নগরের সুবিদবাজারস্থ লাভলী রোডের নামকরণ করা হয়।


আজ বাদ এশা হজরত শাহজালাল (রাঃ) মাজার প্রাঙ্গনে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

কবি লাভলী চৌধুরীর জন্ম ১৯৫০ সালের ১১ মে। তাঁর বাবা মরহুম লফিতফুর রহমান চৌধুরীও ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। মা মরহুমা সিতারা বেগমও ছিলেন একজন সুসাহিত্যিক। 

লাভলী চৌধুরীকে শুধু ‘সিলেটের কবি’ বলা যাবে না কারণ ষাটের দশক থেকেই তাঁর পরিচিতি ও সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল উভয় বাংলায়। ১৯৬৮ সালে ‘শিখা’ নামে একটি সাহিত্যপত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে সম্পাদক হিসেবে অভিষিক্ত হন লাভলী চৌধুরী।

গল্প লেখার মধ্যে দিয়ে লেখালেখির শুরু হলেও সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করেছেন। তবে কবি লাভলী চৌধুরী হিসেবেই ছিলেন বেশি পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার, নাট্যকার ও কথক। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে উপন্যাস- ‘ভালো থেকো’ (রচনাকাল ১৯৬৬। প্রকাশকাল ১৯৮৭), ‘চোখের জলে অন্ধ আঁখি’, ‘স্মৃতিরা পোহায় রোদ্দুর’, ‘সহেনা যাতনা’, ‘তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো’। কাব্য- ‘পুষ্পিতা’, ‘আনন্দ কারাগার’, ‘গীতিগুচ্ছ’, ‘যখন একা বসে থাকি’। জীবনী-‘ত্রিশ বছর পর’, ‘মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ও তাঁর গীতি কবিতা’। ছোটোগল্প-‘আকাশ প্রদীপ’। কিশোর উপনাস-‘ইমু ও পাগলা হাতি’।

সিলেট লেখিকা সংঘ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লাভলী চৌধুরী সিলেটের নারী জাগরণ ও লেখিকাদের সংগঠিত করেছেন। নতুন নতুন লেখিকা তৈরিতে তাঁর ভূমিকা অসামান্য। তিনি ছিলেন একজন সফল সংগঠকও।


এসএইচ-১/এএফ-০৮