নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
০৬:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
০৬:৫১ অপরাহ্ন
মুক্তিযুদ্ধের সেনানায়ক জেনারেল ওসমানীর ১০৩ তম জন্মদিন আজ বুধবার। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন তিনি। ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।
জেনারেল ওসমানীর নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। পাকিস্তানী বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরকি বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
১৯৭১ সালের ২৬ শে ডিসেম্বর তাঁকে বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে দায়িত্ব থেকে অবসর নেন। পরে মন্ত্রীসভায় যোগ দেন। তিনি অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লন্ডনে ১৯৮৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি এম. এ. জি. ওসমানী মারা যান। তাঁকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে সমাহিত করা হয়।
১৯৫১ সালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক নিযুক্ত হন তিনি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প‚র্ববাংলার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত সফলতার সঙ্গে পালন করেন তিনি। ১৯৬৬ সালের মে মাসে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসরকালীন ছুটি নেন এবং পরের বছর (১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি) অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন তিনি। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ‘৭০-এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ঐ ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম. এ. জি. ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন।
আরসি-১২