সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ২৭, ২০২১
০৩:০৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২৭, ২০২১
০৩:২০ পূর্বাহ্ন
উচ্চচাপের গ্যাস পাইপলাইনের উপর অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করে বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে রাখা জমি আবারও উদ্ধারে নেমেছে জালালাবাদ গ্যাস। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দ্বিতীয় দফার অভিযানে নগরের বালুচর ও ইসলামপুর নূরপুর এলাকায় টাস্কফোর্সের অভিযানে ছোটবড় অন্তত ৯টি স্থাপনা ভাঙা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন। এসময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদ সংক্রান্ত ট্রাক্সফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদফা নোটিশ দেওয়ার পর অনেকে স্থাপনা ভেঙে নিয়েছেন। তবে, যেসব স্থাপনা রয়ে গেছে সেগুলো অপসারণে আজ অভিযান পরিচালনা করে টাস্কফোর্স।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন জানান, অভিযানের শুরুতে উত্তর বালুচর কবির খানের তিনতলা ভবন ভাঙা হয়। পরে বালুচর এলাকার আরও ৩টি টিনশেডের স্থাপনা, ইসলামপুরের নূরপুর আবাসিক এলাকায় দুইতলা ভবন এবং আরও চারটি টিনশেড স্থাপনা ভাঙা হয়।
ডিজিএম আমিরুল ইসলাম জানান, এর আগে গত ১৬ মার্চ প্রথমদফার অভিযানে মেজরটিলার মোহাম্মদপুর ও নূরপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এরপর নোটিশ পেয়ে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ১২০টি স্থাপনা অপসারণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জালালাবাদ গ্যাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধিকগ্রহণকৃত ভূমিতে অবৈধভাবে স্থাপিত সীমানা প্রাচীর, বাড়ী, দোকানকোঠা সরিয়ে নেওয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও কর্ণপাত করেননি মালিকরা। নোটিশের পাশাপাশি মৌখিকভাবে অবগত করা হলেও তারা আমলে নেননি। এরপর গ্যাস লাইনের উপর ঝুঁকিপূর্ণ দোকান বাড়িঘর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড।’
ডিজিএম আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেবপুর-কুমারগাঁও উচ্চ চাপবিশিষ্ট ৪০০ কিলোমিটার গ্যাস পাইপ লাইনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত কয়েক শতক ভূমি রয়েছে। এসব জমিতে নিয়ম না মেনে তারা বসতবাড়ি করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাস নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, উচ্চ চাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের উভয় পাশে নূন্যতম ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু, আইনের তোয়াক্কা না করে এই এলাকায় ভূগর্ভস্থ গ্যাস সঞ্চালন লাইনের উপর দিয়েও অনেক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। সেসব ঝুঁকিপূর্ণ ও বেআইনি স্থাপনার তালিকা আমরা করেছি। দখলদারদের বারবার বলা সত্ত্বেও অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেননি। তাই আজ সকাল থেকে নয়াবাজার এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। এখন থেকে ক্রমান্বয়ে সিলেটে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
অভিযান শুরুর আগে জালালাবাদ গ্যাসের লোকজন গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন বলেও জানান এ প্রকৌশলী।
অভিযানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে বসতবাড়ী স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত ট্রাক্সফোর্স কমিটির সদস্য, ব্যবস্থাপক আব্দুল মুকিত, ডিজিএম নাজমুল ইসলাম চৌধুরী, ডিজিএম বিপ্লব বিশ্বাস, ব্যবস্থাপক চন্দন কুমার কুণ্ডু, ব্যবস্থাপক মনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক আব্দুর হাকিম, ব্যবস্থাপক ফজলুল হক, উপব্যবস্থাপক মোনায়েম সরকার, সুপারভাইজার মো. আব্দুল মালেক প্রমুখ।
বিএ-১৭