নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২৬, ২০২১
১২:২৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২৬, ২০২১
১২:২৪ পূর্বাহ্ন
গোলাপগঞ্জে সাজানো মামলায় দুই ভাইকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার শ্রীবহর গ্রামের কামাল উদ্দিন (৪৫)। তার দাবি, এতে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতা রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ‘গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে চলতি মাসে এসআই সুরঞ্জিত কুমার দাস তার ভাই কয়েছ উদ্দিনকে বিনা মামলায় বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে যান। ধরে নিয়ে যাওয়ার পর জনৈক ইসলাম উদ্দিন বাদী হয়ে ভুয়া ঘটনার ভিত্তিতে থানায় মামলা দায়ের করেন।’
দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে থানা হেফাজতে থাকা কয়েছকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে দুইভাই জামিনে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
কামাল আরও বলেন, ‘জনৈক ইসলাম উদ্দিন বাদী হয়ে যে মামলাটি দায়ের করেছেন তার এজাহার দেখলে বোঝা যাবে এটির সত্যতা কতটুকু। এতে উল্লেখ করা হয়েছে- গত ২ আগস্ট দুপুরে তার মামা লন্ডন প্রবাসী সিরাজ উদ্দিনের শ্রীবহর মৌজার দশমিক ১২ শতক ভূমি আত্মসাতের লক্ষ্যে আমরা তার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে জখম করেছি। অথচ এই দিনে এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি।’
‘একইভাবে মামলায় যে ঘটনাস্থল উল্লেখ করা হয়েছে তাতেও ভুল রয়েছে। এখানে ঘটনাস্থল হিসেবে ৩ নম্বর ফুলবাড়ী ইউনিয়ন উল্লেখ করা হলেও আমাদের বাড়ি ৪ নম্বর লক্ষীপাশা ইউনিয়নে। অর্থাৎ হয়রানির জন্যই মামলা দিতে গিয়ে সঠিক ঠিকানাই দিতে পারেননি।’- যোগ করেন তিনি।
কামাল উদ্দিন বলেন, ‘মামলার বাদি গোলাপগঞ্জের মজিদপুর গ্রামের মৃত মনফর আলীর ছেলে ইসলাম উদ্দিন। তিনি দাবি করেছেন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের পর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিঠে আঘাত করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
তিনি বলেন, ‘এ মামলায় যে ৫ সাক্ষী রাখা হয়েছে তাদের কেউই আমাদের প্রতিবেশি নন; তাদের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে। সাক্ষীদের একজন বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করলেও তাকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে।’
ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে এটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
বিএ-০৭