বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানকে নিয়ে 'মানহানিকর' বক্তব্য, থানায় জিডি

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি


আগস্ট ২১, ২০২১
১০:৪৮ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২১, ২০২১
১১:৩২ অপরাহ্ন



বিশ্বনাথে চেয়ারম্যানকে নিয়ে 'মানহানিকর' বক্তব্য, থানায় জিডি

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘কুরুচি ও মানহানিকর অশালীন’ বক্তব্য দেওয়ায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার লাউতলা গ্রামের মৃত আছান উল্লাহর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে এ সাধারণ ডায়েরি দায়ের (জিডি) দায়ের করেন। 

জিডিতে উপজেলা চেয়ারম্যান উল্লেখ করেছেন, গত বৃহস্পতিবার একটি ফেসবুক পেজে প্রবাসী আতাউর রহমান একটি সালিশকে কেন্দ্র করে তাকে (নুনু মিয়া) জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর, অশালীন এবং আক্রমণাক্তক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। মনগড়া বানোয়াট এ বক্তব্যের কোনো সত্যতা নেই বলে দাবি করেন নুনু মিয়া। বক্তব্যে বলা হয়, ১ বছর আগে প্রবাসী আতাউর রহমান বিশ্বনাথে তার শ্বশুরবাড়ির ব্যাপারে একটি সালিশ বৈঠক স্থানীয় খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে শালিসকারীদের কথানুযায়ী ১ লাখ টাকা তার (নুনু মিয়া) মাধ্যমে প্রদান করেন প্রবাসী এবং সবার উপস্থিতিতেই তিনি টাকা বুঝে নেন। অথচ তিনি ওই সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি ওই সালিশে সালিশকারী হিসেবেও তার নাম ছিল না। ১ বছর পর ওই প্রবাসী একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচণায় সম্পূর্ণ অসত্য ও আশালীন বক্তব্য মানহানিকর ও জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রবাসীর এ বক্তব্য উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এবং দলের প্রতিও কটাক্ষ করেছেন ওই প্রবাসী।

উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম নুনু মিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে প্রবাসীর এ বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলার দাবি জানান ও তার বিরুদ্ধে আশালীন ও মানহানিকর বক্তব্যের বিচার দাবি করেন।

জিডি দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মক্ররতা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এমএ/আরআর-০৩