মাধবপুর প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের মাধবপুরের ইটাখোলা কবরস্থান থেকে সোমবার দুপুরে ইটাখোলা গ্রামের হেফজুর রহমান মাস্টারের ছেলে সাইফুর রহমান মোশের্দের (৩০) লাশ মৃত্যুর সাড়ে তিন মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক মন্ডল, পিবিআই ইন্সপেক্টর শরিফ মো. রেজাউল করিমসহ নোয়াপাড়া এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ জুন মাধবপুর থানা পুলিশ সাইফুর রহমান মোশেদের লাশ ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইটাখোলা গ্রামে তার বসতঘর থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। এ দিনই মোশেদের বড় ভাই শফিকুর রহমান শামীম মাধবপুর থানায় মোশেদের স্ত্রী হাসিনা বেগম হাসিকে আসামি করে খুনের মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ হাসিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। তার ৭ বছরের একমাত্র কন্যা সন্তান ফাতেমা তাবাসসুম খড়কী গ্রামে হাসির বাবার বাড়িতে রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর শরিফ মো. রেজাউল করিম জানান, প্রায় দেড় মাস পূর্বে তিনি এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন। সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে গরমিল থাকায় বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে পুনরায় লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
মামলার বাদী শফিকুর রহমান শামীম জানান, প্রায় ১০ বছর আগে প্রেম করে তার ভাই মোশেদ খড়কী গ্রামের আব্দুস সহিদের মেয়ে হাসিনা বেগম হাসিকে বিয়ে করে আলাদা বসবাস করছে। মোশেদ ও হাসির মধ্যে বনিবনা ছিল না। হাসি কমিউনিটি হেলথ মাঠকর্মী হিসেবে খড়কী শাখায় চাকরি করতো। তার সুপারভাইজারের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের কারণে মোশেদকে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে লাশের গলায় ফাঁসি দিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলানো হয়েছে। এ বিষয় তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
শামীম বলেন, ‘মাধবপুর থানার এস আই মো. আব্দুল ওয়াহেদ গাজী প্রস্তুতকৃত সাইফুর রহমান মোশেদের মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্টে ঠোঁটে, পিঠে, পেটে, পায়ের আঙ্গুল থেঁতলানো, পুরুষাঙ্গ থেঁতলানো ও ফোলা, দুই বগল থেঁতলানো ও ফোলা, কোমর হতে পা পর্যন্ত শরীর থেঁতলানো ও চামড়া উঠানোসহ বিভিন্ন আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ রয়েছে। ছবিও রয়েছে অথচ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কিছুই নেই। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আর সুরতহাল রিপোর্টে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। ময়নাতদন্তে প্রকৃত ও সত্য গোপন করা হয়েছে, তাই পুনরায় ময়নাতদন্ত দাবি করায় আদালতের আদেশে পুনরায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
এসএমআর/বিএ-২০